Iran-Israel Conflict

গাজ়া এবং ইরানে হামলা চালাতে ইজ়রায়েলকে ফের ৮ হাজার কোটি টাকার অস্ত্রসাহায্য আমেরিকার!

বাইডেন প্রশাসন ইজ়রায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চুক্তি বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সম্মত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে আইনসভা কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ০৯:৪৬
Share:

বাঁ দিক থেকে, নেতানিয়াহু এবং বাইডেন। — ফাইল চিত্র।

গাজ়ায় সামরিক অভিযান এবং ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত পর্বের মধ্যেই তেল আভিভের পাশে দাঁড়াল ওয়াশিংটন। ইজ়রায়েলকে আরও ১০০ কোটি ডলারের (প্রায় ৮৩৪০ কোটি টাকা) অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার।

Advertisement

ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এবং সিএনএন-এ প্রকাশিত খবরে দাবি, বাইডেন প্রশাসন ইজ়রায়েলের সঙ্গে ১০০ কোটি ডলারের নতুন অস্ত্র চুক্তির বিষয়টি নিয়ে প্রাথমিক ভাবে সম্মত হয়েছে। এ সংক্রান্ত প্রস্তাব চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে আমেরিকার আইনসভা কংগ্রেসের সংশ্লিষ্ট কমিটির কাছে।

ওই অস্ত্রচুক্তি অনুযায়ী পেন্টাগনের কাছ থেকে কামান এবং ট্যাঙ্কের জন্য গোলা, মর্টারের শেল পাবে ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। প্রসঙ্গত, গত ৭ অক্টোবর প্যালেস্তিনীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে ইজ়রায়েলের সংঘাত শুরুর পরেই নেতানিয়াহু সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছিল বন্ধুরাষ্ট্র আমেরিকা। অত্যাধুনিক অস্ত্র, গোলাবারুদ ভর্তি বিমান পৌঁছে গিয়েছিল ইজ়রায়েলের দক্ষিণ প্রান্তের নেভাটিম বিমানঘাঁটিতে।

Advertisement

তার পর থেকে ধারাবাহিক ভাবে ইজ়রায়েলকে অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম দিয়ে চলেছে বাইডেন সরকার। এমনকি, গাজ়ায় শরণার্থী শিবিরে ধারাবাহিক হামলা এবং ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাতের আবহেও তা অব্যাহত রয়েছে। গত শনিবার (১৩ এপ্রিল) মধ্যরাতে ইজ়রায়েলে প্রায় ২০০টি ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইরান সেনা। যদিও আমেরিকা এবং জর্ডনের মতো দেশের সহায়তায় শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরোধী ব্যবস্থার সাহায্যে প্রায় ৯৯ শতাংশ ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্রকে প্রতিহত করে ইজ়রায়েল। ফলে বিশেষ ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি।

তার আগে গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার রাজধানী দামাস্কাসে ইরানি দূতাবাসে ক্ষেপণাস্ত্র বিমানহানা চালিয়েছিল ইজরায়েল। তাতে নিহত হয়েছিলেন ইরানের কয়েক জন কূটনীতিক এবং সামরিক প্রতিনিধি। তারই জেরে তৈরি হয় যুদ্ধের আবহ। তবে ইজ়রায়েলের প্রতি আমেরিকার এই সমর্থন নতুন কোনও ঘটনা নয়। ইজ়রায়েল রাষ্ট্রের গোড়ার দিন থেকেই আমেরিকা ‘ত্রাতা’ হিসাবে ধরা দিয়েছে ইজ়রায়েলবাসীর কাছে।

সম্প্রতি গাজ়ায় শরণার্থী শিবিরে ইজ়রায়েলি সেনার হামলার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে সরব হয়েছিলেন বাইডেন। নেতানিয়াহুর প্যালেস্টাইন নীতির সমালোচনা করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির পক্ষে সওয়াল করেছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত পূর্বসূরিদের পথই অনুসরণ করলেন হোয়াইট হাউসের বর্তমান বাসিন্দা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন