— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
এক মাস পর ফের বিদেশি পড়ুয়াদের ভিসা প্রক্রিয়াকরণ শুরু করল আমেরিকা। তবে এ বার আমেরিকার বিদেশ দফতর জানিয়েছে, বিদেশ থেকে আমেরিকায় উচ্চশিক্ষার জন্য আসা পড়ুয়াদের সমাজমাধ্যমের উপর কড়া নজর রাখা হবে। কোনও রকম বিতর্কিত পোস্ট কিংবা মন্তব্য দেখা গেলেই আর ভিসা মিলবে না।
বুধবারই ভিসা সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা প্রকাশ করেছে আমেরিকার বিদেশ দফতর। নির্দেশিকা অনুযায়ী, ভিসার আবেদনের জন্য মার্কিন মুলুকে উচ্চশিক্ষার জন্য যেতে ইচ্ছুক বিদেশি পড়ুয়াদের সকলকে তাঁদের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল ‘পাবলিক’ করতে হবে। তার পর তাঁর পোস্টগুলি খতিয়ে দেখবে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকা-বিরোধী কোনও রকম পোস্ট থাকলেই ভিসা দেওয়া হবে না।
প্রসঙ্গত, মে মাসের শেষের দিকে সমাজমাধ্যম সংক্রান্ত নতুন নির্দেশিকা জারি করার সময়েই বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রদান সাময়িকভাবে স্থগিত রেখেছিল মার্কিন বিদেশ দফতর। বুধবার জানানো হয়েছে, এখন থেকে ফের ভিসার আবেদন গ্রহণ শুরু হচ্ছে। জনৈক মার্কিন প্রশাসনিক কর্তার কথায়, ‘‘আমাদের দেশে আসা সকলের সমাজমাধ্যমের প্রোফাইল আতশকাচের নীচে রেখে যাচাই করে দেখা হবে। পড়ুয়া হোক কিংবা এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রামের জন্য আবেদনকারী— সকলের সমাজমাধ্যমের পোস্ট পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে খতিয়ে দেখবেন মার্কিন কনস্যুলার অফিসারেরা।’’
দ্বিতীয় বারের জন্য আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসে প্রথম দিনেই এক নির্বাহী আদেশে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছিলেন, ‘‘যে সব বিদেশি আমেরিকায় আসবেন, তাঁরা যে আমেরিকার নাগরিক, সংস্কৃতি, সরকার, প্রতিষ্ঠান কিংবা আদর্শের প্রতি শত্রুতাপূর্ণ মনোভাব পোষণ করেন না, তা নিশ্চিত করা হবে।’’ এর পরেই ভিসার আবেদনে কড়াকড়ি শুরু করে মার্কিন প্রশাসন। আমেরিকার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে বিদেশি পড়ুয়া ভর্তির বিষয়েও কড়াকড়ি শুরু হয়। গত মাসেই হার্ভার্ডে বিদেশি পড়ুয়াদের প্রবেশের উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এখন থেকে হার্ভার্ডে নতুন করে পড়তে আসা বিদেশি পড়ুয়ারা ভিসা পাবেন না। অন্য কোনও উদ্দেশ্যে হার্ভার্ড-ভ্রমণের উপরেও কড়া নজর রাখবে মার্কিন প্রশাসন। শুধু তা-ই নয়, অভিবাসন আইনও কঠোর করা হয়েছে। দেশে ১২টি দেশের নাগরিকদের প্রবেশাধিকার পুরোপুরি নিষিদ্ধ করে দিয়েছে আমেরিকা। ৯ জুন থেকে আফগানিস্তান, মায়ানমার, চাদ, রিপাবলিক অফ কঙ্গো, ইকিউটোরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হাইতি, ইরান, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান এবং ইয়েমেনের বাসিন্দাদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে।