গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
বিরোধীদের বিক্ষোভে দমন-পীড়নের অভিযোগে কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ডিয়াজ় কানাল-সহ দেশের শীর্ষ সরকারি আধিকারিকদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল আমেরিকা। মার্কিন বিদেশ সচিব মার্কো রুবিয়ো এ কথা জানিয়েছেন।
কিউবার বিদেশমন্ত্রী ব্রুনো রদ্রিগেজ শনিবার এক্স পোস্টে মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কঠোর সমালোচনা করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘আমেরিকা কখনও কিউবার জনগণ বা নেতৃত্বের মনোবল ভাঙতে পারবে না।’’ প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ছাড়াও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছেন সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আলভারো লোপেজ মিয়ারা, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লাজারো আলবার্তো আলভারেজ় কাসাস-সহ কিউবার শাসকদলের কয়েক জন শীর্ষস্থানীয় নেতা।
২০২১ প্রয়াত কমিউনিস্ট নেতা ফিদেল কাস্ত্রোর দেশের সরকারের বিরুদ্ধে গণতন্ত্রপন্থী বিক্ষোভের উপর বলপ্রয়োগের অভিযোগ উঠেছিল। হঠাৎ কেন সেই হিংসাপর্বের চতুর্থ বর্ষপূর্তির আগে এমন পদক্ষেপ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের? এক পোস্টে রুবিয়ো লিখেছেন, ‘‘কিউবার বর্বর শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে সে দেশের জনগণের পাশে থাকার বার্তা দিতেই এই সিদ্ধান্ত।’’
কিউবার প্রেসিডেন্ট মিগুয়েল ‘কট্টরপন্থী’ হিসেবে পরিচিত। ইন্টারনেটের অবাধ ব্যবহার আর সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতায় প্রবল আপত্তি রয়েছে তাঁর। বিরোধীদের গণতান্ত্রিক পরিসর দেওয়ার ক্ষেত্রেও তাঁর অনীহা প্রবল। ২০২১ সালের জুলাই মাসে খাদ্য, ওষুধ-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ঘাটতি এবং বেহাল অর্থনৈতিক হালের প্রতিবাদে রাজধানী হাভানা-সহ কিউবার বিভিন্ন অঞ্চলে জনবিক্ষোভ দানা বেঁধেছিল। তা দমন করতে নির্বিচারে বলপ্রয়োগ ও ধরপাকড় করেছিল মিগুয়েলের সরকার। সাম্প্রতিক একটি রিপোর্টে জানানো হয়েছে, জুলাই আন্দোলনে জড়িত ৭০০-র বেশি বিক্ষোভকারী এখনও কিউবার বিভিন্ন জেলে বন্দি।