সহযোগিতার দিন ফিরছে, আশায় দিল্লি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সফর করেছেন ঠিকই। কিন্তু প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা বা আর্থিক ক্ষেত্রে বলার মতো কিছু ঘটেনি। বরঞ্চ বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৬ অগস্ট ২০১৭ ০৩:১১
Share:

ছবি: সংগৃহীত।

একটু দেরিতে হলেও চাকা গড়াতে শুরু করেছে।

Advertisement

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষমতায় আসার পরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মার্কিন সফর করেছেন ঠিকই। কিন্তু প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা বা আর্থিক ক্ষেত্রে বলার মতো কিছু ঘটেনি। বরঞ্চ বিশ্ব পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে।

সম্প্রতি ট্রাম্প আফগানিস্তানের নীতি নিয়ে পাকিস্তানের উপর চাপ তৈরি করার পরে কিছুটা স্বস্তি মিলেছে সাউথ ব্লকের। এ বার সেই বাতাবরণে আমেরিকার পক্ষ থেকে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সফরে নয়াদিল্লি আসছেন সে দেশের প্রতিরক্ষাসচিব জেমস ম্যাটিস। সন্ত্রাস-মোকাবিলা, আফগানিস্তান পরিস্থিতি এবং ভারত-মার্কিন প্রতিরক্ষা সমঝোতা তাঁর আলোচ্যসূচির প্রধান অংশ হতে চলেছে। বিদেশ মন্ত্রক সূত্রের খবর, আগামী মাসের ২৫ তারিখ দু’দিনের সফরে ম্যাটিস কথা বলবেন প্রতিরক্ষা প্রযুক্তি হস্তান্তর নিয়েও।

Advertisement

ম্যাটিসের পরে ভারতে আসার কথা মার্কিন বিদেশসচিব রেক্স টিলারসনের। ভারত এবং আমেরিকার মধ্যে সম্প্রতি ‘টু প্লাস টু’ আলোচনার একটি নতুন মেকানিজম স্থির হয়েছে বলে সূত্রের খবর। অর্থাৎ দু’দেশেরই বিদেশ এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের শীর্ষ কর্তার মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ের ব্যবধানে বৈঠকে বসবেন। তবে এই নতুন মেকানিজমটি তৈরি হওয়ায় এর আগের ভারত-মার্কিন সাবেকি কৌশলগত আলোচনার প্রক্রিয়াটি বন্ধ হয়ে যাবে কি না, তা অবশ্য এখনও স্পষ্ট করেনি দু’দেশের কেউই।

গত একুশ তারিখ ট্রাম্প আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেন, আফগানিস্তানের পুনর্গঠনে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা বাড়ানো হবে। এ ব্যাপারে ভারতের আরও বেশি আর্থিক এবং অন্যান্য সহযোগিতার আহ্বান জানান ট্রাম্প। পাশাপাশি স্পষ্টভাষায় তিনি বলেন, পাকিস্তানের মদতপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদীরা আফগানিস্তানে অস্থিরতা তৈরি করছে। এরপরই টিলারসনের সঙ্গে ফোনে কথা হয় বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের। মার্কিন নিরাপত্তা উপদেষ্টা এইচ আর ম্যাকমাস্টারের সঙ্গেও কাবুল পরিস্থিতি নিয়ে ফোনে আলোচনা করেছেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। সূত্রের খবর, এই আলোচনার প্রধান বিষয়বস্তু হবে, কাবুলে ভারতীয় সহযোগিতা বাড়ানোর বিষয়টি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন