ফাইল চিত্র।
তদন্ত চলছে। মার্কিন ভোটে মস্কো তাই সত্যিই কলকাঠি নেড়েছিল কি না, এখনও তা স্পষ্ট নয়। মস্কো যেমন প্রথম থেকেই সেই অভিযোগ উড়িয়ে এসেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পও এই একটা বিষয়ে তেমন ঘাঁটাতে চান না রাশিয়াকে! স্থানীয় সময় গত কাল রাতে তবু সেই প্রসঙ্গ টেনেই মস্কোর বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন মার্কিন সেনেটরদের একটা বড় অংশ। ডেমোক্র্যাটরা তো বটেই, রাশিয়াকে ‘শিক্ষা’ দিতে আরও এক প্রস্ত নিষেধাজ্ঞা চাপানোর পক্ষে সওয়াল করলেন রিপালিকানরাও।
সূত্রের খবর, আগামী সপ্তাহেই নিষেধাজ্ঞা নিয়ে সংশোধনী বিল পেশ হবে সেনেটে। যাতে ইরানের সঙ্গে নাম জুড়ছে রাশিয়ারও। খসড়া তৈরি সেই চুক্তিপত্রের। সেনেটররা চাইছেন, মস্কোর উপর এ বার এমন ভাবে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হোক, যাতে প্রেসিডেন্ট চাইলেও তা না রাতারাতি উঠে যায়। এমনকী বিশেষ কোনও ক্ষেত্রে যদি তা শিথিল করতে হয়, তা হলেও শেষ কথা বলবে মার্কিন কংগ্রেসই। এ দফায় নতুন করে রাশিয়ার খনন, ধাতুশিল্প, জাহাজ ও রেল পরিবহণের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চাইছেন সেনেটররা।
সেনেটে ব্যাঙ্কিং এবং বিদেশ নীতি সংক্রান্ত যে কমিটি দু’টি রয়েছে, মূলত তারাই এ নিয়ে উঠে পড়ে লেগেছে বলে সূত্রের খবর। ডেমোক্র্যাটিক সেনেটর চাক শ্যুমারের দাবি, ‘‘নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপিয়ে আমরা রাশিয়া-সহ প্রত্যেককে বুঝিয়ে দিতে চাই যে, আমাদের ভোটে হস্তক্ষেপ করার এটাই উচিত শাস্তি।’’
তাঁর আরও অভিযোগ, বাশার আল-আসাদ সরকারের পাশে দাঁড়িয়ে সিরিয়া গত ছ’বছর ধরে ধারাবাহিক ভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে এসেছে রাশিয়া। ইউক্রেনের হাত থেকে ক্রিমিয়া প্রদেশ ছিনিয়ে নিতেও মরিয়া মস্কো। এ বার তাই নয়া নিষেধাজ্ঞার সঙ্গে ওবামা আমলের বাঁধুনিও আরও পোক্ত করতে মরিয়া মার্কিন সেনেট। প্রয়োজনে ট্রাম্পের হাত বেঁধেও!