Israel-Hamas Conflict

নেতানিয়াহুর পাশে দাঁড়াল বাইডেন সরকার, গাজ়ায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপুঞ্জে ভেটো!

আমেরিকা ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র (রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, ফ্রান্স) এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সমর্থন করেছে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০২৪ ০৯:২২
Share:

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

অনাহারে দিন কাটাতে হচ্ছে দক্ষিণের রাফা আর উত্তরের খান ইউনুস শিবিরে থাকা প্যালেস্টাইনি শরণার্থীদের। তারই মধ্যে আকাশ এবং স্থলপথে গাজ়ার উপরে ধারাবাহিক হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইজ়রায়েলি সেনা। প্রতি দিনই বাড়ছে হতাহতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানিয়ে ইউরোপ এবং এশিয়ার কয়েকটি দেশ সরব হয়েছিল রাষ্ট্রপুঞ্জে। কিন্তু তাতে বাধ সাধল আমেরিকা।

Advertisement

বিদায়ী প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সরকার প্রাথমিক ভাবে ইজ়রায়েল-হামাস সংঘাত ঠেকাতে যুদ্ধবিরতি চেয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের খসড়া প্রস্তাব সমর্থনের ইঙ্গিত দিয়েছিল। কিন্তু বুধবার নিরাপত্তা পরিষদে ভেটো ক্ষমতা প্রয়োগ করে এই উদ্যোগ ভেস্তে দিল তারা। প্রসঙ্গত, আমেরিকা ছাড়া রাষ্ট্রপুঞ্জ নিরাপত্তা পরিষদের বাকি চার স্থায়ী সদস্যরাষ্ট্র (রাশিয়া, চিন, ব্রিটেন, ফ্রান্স) এবং ১০টি অস্থায়ী সদস্য দেশই যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব সমর্থন করেছে।

গাজ়া ভূখণ্ডে হামলা চালানোর বিরোধিতা করে ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের উপরে চাপ বাড়িয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করতে রাজি নয় তেল আভিভ। বুধবার গাজ়ার ‘হামাসমুক্ত’ অঞ্চল পরিদর্শনে গিয়ে নেতানিয়াহু বলেন ‘‘হামাস আর কোনও দিন এই ভূখণ্ড শাসন করতে পারবে না।’’ স্বাধীনতাপন্থী সশস্ত্র প্যালেস্টাইনি গোষ্ঠীটিকে পুরোপুরি নির্মূল করার কথাও ঘোষণা করেন তিনি। তবে আগামী ২০ জানুয়ারি হোয়াইট হাউসে প্রবেশের পরে ডোনাল্ড ট্রাম্প যুদ্ধ বন্ধে সক্রিয় হতে পারেন বলে কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের ধারণা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গত বছর প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে ইজ়রায়েলের হামলা প্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে এক বার বাইডেন একে ‘বাড়াবাড়ি’ বলেছিলেন। তিনটি শব্দে ইজ়রায়েলের হামলাকে ব্যাখ্যা করেছিলেন আমেরিকান প্রেসিডেন্ট। সেই তিন শব্দ হল ‘ওভার দ্য টপ’। অর্থাৎ, ইজ়রায়েলি হামলাকে তিনি ‘প্রয়োজনের তুলনায় বেশি’ বলে দেখছেন। যা ভাল ভাবে নিতে পারেননি নেতানিয়াহু। বাইডেনের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে মুখ খুলেছিলেন তিনি। কিন্তু কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে এখনও প্রকাশ্যে ইজ়রায়েলে বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করেনি আমেরিকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement