সোশ্যাল মিডিয়ায় আপনার প্রোফাইল আর ব্যক্তিগত নয়। মার্কিন ভিসা পেতে হলে এ বার তা-ও জুড়তে হবে আবেদনপত্রের সঙ্গে। গত পাঁচ বছরে আপনি যে যে ফোন নম্বর এবং ই-মেল আইডি ব্যবহার করেছেন, সেগুলিও জানাতে হবে। ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীকে আপাদমস্তক যাচাই করতে চেয়ে গত কাল ফেডারাল রেজিস্টারে এমনটাই বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন। আপাতত বিষয়টি প্রস্তাবের আকারে রাখা হলেও, ইতিমধ্যেই এ নিয়ে কপালে ভাঁজ প়ড়েছে বহু দেশের। অনুমান করা হচ্ছে, নয়া ভিসা আইন চালু হলে, তাতে প্রভাবিত হবেন প্রায় ৭ লক্ষ অভিবাসী এবং প্রায় দেড় কোটি অন-অভিবাসী ভিসার আবেদনকারী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মার্কিন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভিসার জন্য আবেদনকারী সোশ্যাল মিডিয়ায় কী ধরনের কাজকর্ম বা আলোচনায় জড়িত তা জানতে চান কর্তৃপক্ষ। ওই ব্যক্তি আমেরিকার পক্ষে কোনও রকম ভাবে ক্ষতিকারক কি না, তা যাচাই করতেই এই পদক্ষেপ। নয়া প্রস্তাবে বলা হয়েছে, আবেদনকারীকে এর আগে কোনও দেশ কোনও কারণে বিতাড়ন করে থাকলে, তা-ও জানাতে হবে আমেরিকাকে। সরকারি ভাবে এই নির্দেশ প্রকাশিত হওয়ার পরে আগামী ৬০ দিন এই নয়া ভিসা আইন নিয়ে জনসাধারণের মতামত নেওয়া হবে। তবে কূটনীতিক বা সরকারি আধিকারিকেরা ভিসার জন্য আবেদন করলে, তাঁদের এ সব প্রশ্ন করা হবে বলেই জানিয়েছে প্রশাসন।
এইচ১বি ভিসা পাওয়া নিয়েও চিন্তা বাড়ছে ভিন্দেশিদের। এপ্রিলের গোড়াতেই আবেদনপত্র নেওয়া শুরু করবে আমেরিকা। এ বার যাচাই-ব্যবস্থা কড়াকড়ি করার ইঙ্গিত দিয়েছে প্রশাসন। তার উপর কাল জানানো হয়েছে, কোনও ব্যক্তি একাধিক আবেদনপত্র পূরণ করলে তাঁকে কালো তালিকাভুক্ত করা হতে পারে।