প্রিডেটর সি অ্যাভেঞ্জার ড্রোন যদি ভারত পায়, বায়ুসেনার সক্ষমতা বিপুল বেড়ে যাবে, বলছেন বিশেষজ্ঞরা। —প্রতীকী ছবি / রয়টার্স।
ভারতকে এ বার সশস্ত্র ড্রোন দেওয়ার কথা ভাবছে আমেরিকা। বাহিনীর আধুনিকীকরণের জন্য সশস্ত্র ড্রোন পেতে আমেরিকার কাছে আগেই তদ্বির করে রেখেছিল ভারত। নয়াদিল্লির সেই অনুরোধ কী ভাবে রাখা যায়, তা ওয়াশিংটন বিবেচনা করে দেখছে, জানিয়েছেন ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্তা।
ভারতীয় সেনার আধুনিকীকরণ যত দ্রুত হয়েছে, বায়ুসেনার আধুনিকীকরণের গতি ততটা নয়। বহু বছরের পুরনো মিগ বিমানগুলিকে বসিয়ে দিয়ে ভারত বেশি করে সুখোই, রাফাল বা এফ-১৬-এর মতো যুদ্ধবিমান কেনার পথে এগোচ্ছে। তবে শুধু প্রথাগত যুদ্ধবিমানে আটকে থাকতে চায় না ভারত। সশস্ত্র ড্রোন এনে বায়ুসেনার সক্ষমতা এক ধাক্কায় অনেকখানি বাড়িয়ে নিতে চায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক। সে কথা মাথায় রেখেই আমেরিকাকে ভারত অনুরোধ করেছিল, জেনারেল অ্যাটমিকস-এর তৈরি প্রিডেটর সি অ্যাভেঞ্জার এয়ারক্র্যাফ্ট (সশস্ত্র ড্রোন) ভারতীয় বায়ুসেনাকে বিক্রি করা হোক।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে সুষমা: আলোচনায় রোহিঙ্গা, তিস্তা থেকে সন্ত্রাস
৮০টি থেকে ১০০টি প্রিডেটর সি অ্যাভেঞ্জার কিনতে চেয়েছিল ভারত। এই সশস্ত্র ড্রোনগুলি কেনার জন্য ৮০০ কোটি ডলার খরচ ধরা হয়েছিল বলে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক সূত্রের খবর। কিন্তু ওই ড্রোন ভারতকে দিতে আমেরিকা রাজি কি না, তা স্পষ্ট ছিল না। পিটিআই সূত্রের খবর, ভারতের ওই অনুরোধ বা দাবি সংক্রান্ত এক প্রশ্নে ইতিবাচক জবাব দিয়েছেন এক উচ্চপদস্থ মার্কিন কর্তা। ভারতের অনুরোধ গুরুত্ব দিয়েই বিবেচিত হচ্ছে বলে ইঙ্গিত মিলেছে।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদূতকে খুনের চক্রান্ত! আরও নিরাপত্তা চেয়ে পাকিস্তানকে চিঠি চিনের
জেনারেল অ্যাটমিকসের তৈরি প্রিডেটর গার্ডিয়ান ড্রোন ভারতকে বিক্রি করার বিষয়ে অবশ্য আগেই সম্মতি দিয়েছে ট্রাম্পের প্রশাসন। ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সর্বক্ষণ তীক্ষ্ণ নজরদারির সক্ষমতা বাড়াতে ওই ড্রোন কিনতে চেয়েছে ভারত। অনেক উপর থেকে ভূপৃষ্ঠের বা সমুদ্রপৃষ্ঠের বিশাল অঞ্চলকে নজরে রাখতে প্রিডেটর গার্ডিয়ান এয়ারক্র্যাফ্টের জুড়ি নেই। নয়াদিল্লির দাবি মেনে ২২টি গার্ডিয়ান ড্রোন ভারতকে বিক্রির সিদ্ধান্তে সিলমোহর লাগিয়ে দিয়েছে ওয়াশিংটন। নজরদারি ড্রোনের পর ভারতকে সশস্ত্র ড্রোন দেওয়ার কথাও আমেরিকা বিবেচনা করতে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে।