শিশু হেনস্থায় দোষী ভ্যাটিকান যাজক

শিশু নিগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন ভ্যাটিকানের অন্যতম প্রবীণ ধর্মযাজক ও প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ কার্ডিনাল জর্জ পেল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সিডনি শেষ আপডেট: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০০:৫৪
Share:

শিশু নিগ্রহের দায়ে দোষী সাব্যস্ত হলেন ভ্যাটিকানের অন্যতম প্রবীণ ধর্মযাজক ও প্রাক্তন কোষাধ্যক্ষ কার্ডিনাল জর্জ পেল। অভিযোগ, ২২ বছর আগে অস্ট্রেলিয়ার আর্চবিশপ থাকাকালীন মেলবোর্নের এক গির্জায় ১৩ বছরের দুই কিশোরকে যৌন হেনস্থা করেছিলেন পেল। আগামী সপ্তাহে তাঁর বিরুদ্ধে সাজা ঘোষণা করবে আদালত।

Advertisement

চার সপ্তাহের বিচারপ্রক্রিয়ার পরে গত ১১ ডিসেম্বর পাঁচ দফা যৌন হেনস্থার অভিযোগে পেলকে দোষী সাব্যস্ত করে অস্ট্রেলিয়ার আদালত। কিন্তু সংবাদমাধ্যমকে তখন সেই খবর প্রকাশ করার অনুমতি দেওয়া হয়নি। প্রতিটি অভিযোগে ১০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে তাঁর। যদিও প্রথম থেকেই নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করেছেন পেল। আজও আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বেরোনোর সময়ে মুখ খোলেননি তিনি। তাঁর আইনজীবী জানান, রায়ের বিরুদ্ধে পাল্টা আবেদন জানাবেন তাঁরা। আগামিকাল ফের আদালতে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ওই যাজককে।

আদালত জানিয়েছে, ১৯৯৬ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৯৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ওই দুই কিশোরকে যৌন নিগ্রহ করেছিলেন পেল। ঘটনার কয়েক মাস আগেই মেলবোর্নের আর্চবিশপ পদে এসেছিলেন তিনি।

Advertisement

পোপ ফ্রান্সিসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন ভ্যাটিকানের তৃতীয় শীর্ষ পদাধিকারী এই যাজক। ভ্যাটিকানের তহবিল সামলানোর পাশাপাশি আর্থিক দুর্নীতি খুঁজে বার করার গুরুদায়িত্ব তাঁকে দিয়েছিলেন খোদ পোপই। তাঁর অত্যন্ত কাছের পরামর্শদাতা ছিলেন পেল। ক্যাথলিক চার্চের বিরুদ্ধে ওঠা শিশু হেনস্থার অভিযোগে পেল যে ভাবে সাড়া দিয়েছিলেন, তা নিয়ে অতীতে ঢালাও প্রশংসাও শোনা গিয়েছে পোপের মুখে। কিন্তু গত ডিসেম্বরে ওই যাজক দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর পরই দূরত্ব বাড়াতে থাকেন পোপ। পেল-সহ আরও দুই যাজককে কার্ডিনাল কাউন্সিলের ঘনিষ্ঠ বৃত্ত থেকে সরিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তখনও পেল ভ্যাটিকানের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। বিচারের জন্য অস্ট্রেলিয়ার ফেরার আগের তিন বছর ওই পদে ছিলেন পেল। বিচার শুরু হওয়ার পরে পদ থেকে অব্যাহতি দেন তিনি।

আদালত জানিয়েছে, ২০১৪ সালে অভিযোগকারীদের এক জন মারা গিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করে অন্য জন বলেছেন, ‘‘বাকি ভুক্তভোগীদের মতোই আমাকেও লজ্জা, একাকীত্ব, অবসাদের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়। আমার জীবনে ওই ঘটনার কুপ্রভাব বহু দিন থেকে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন