দেশে ভয়াবহ খরা। জল সরবরাহের অভাবে শুকনো খটখটে চাষের জমি। জলের অভাবে বন্ধ সবকটা জলবিদ্যুত্ কেন্দ্র। বাঁচাতেই হবে বিদ্যুত্। বিদ্যুত্ বাঁচাবার জেরে দেশের ওয়ার্কপ্লেস ক্যালেন্ডারটাই বদলে ফেলল ভেনেজুয়েলা। শুধু শনি, রবি নয়, এবার থেকে সে দেশে সপ্তাহের পাঁচটা দিনই উইকএন্ড। সোজা কথায় ছুটি। এবার থেকে সমস্ত সরকারি অফিস-কাছারিতে কাজ হবে মাত্র দু’দিন।
মঙ্গলবার রাতে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরাই ঘোষণা করেছেন, সমস্ত পাবলিক সেক্টর এবার শুধু সোম আর মঙ্গলবার কাজ করবে।
দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশের এক তৃতীয়াংশ মানুষ সরকারি কর্মচারী। এবার থেকে সপ্তাহের পাঁচটি দিন তাঁরা অফিসের বদলে বাড়িতেই লোডশেডিং-এ দিন গুজরান করবেন।
বর্ষাকালে যদি পর্যাপ্ত বৃষ্টি হয়, তাহলে ফের সচল হবে জল বিদ্যুত্ কেন্দ্রগুলি। মিটবে বিদ্যুত্ ঘাটতি। আর তখনই বদলাবে এই সাপ্তাহিক পাঁচ দিন ছুটির রোজ নামচা।
আরও পড়ুন-করাচি বিমানবন্দরে জুতো দেখানো হল বজরঙ্গী ভাইজানের পরিচালককে
প্রাইমারি স্কুলগুলিতেও এখন থেকে শনি, রবির সঙ্গে ছুটি থাকবে শুক্রবারও। এমনিতেই ভেনেজুয়েলার বেশিরভাগ অংশে রোজ দিনে অন্তত চার ঘণ্টা করে পাওয়ার কাট বাধ্যতামূলক। গেরস্থালির সঙ্গে সঙ্গে এই নিয়ম থেকে বাদ যাচ্ছে না শপিং মল আর রেস্তোরাঁগুলোও। রোজ এই লোডশেডিং-এর জ্বালায় নষ্ট হচ্ছে গুচ্ছ খাবার। বাড়ি হোক বা রাস্তা ভরসা এখন শুধুই মোমবাতি।
এই মুহূর্তে ভেনেজুয়েলার সামগ্রিক আর্থিক অবস্থাও অত্যন্ত খারাপ। নতুন নোট ছাপাবার জন্যও সরকারে কোষাগারে নোট নেই।
মঙ্গলবার পাঁচ দিনের ছুটি আর লাগাতার পাওয়ার কাটের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে ভেনেজুয়েলার পরিস্থিতি। জুলিয়া প্রদেশে বাসিন্দারা খেপে গিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। হামলা চালানো হয় সরকারি বিদ্যুত্ অফিসের সদর দফতরে। তৈরি হয় দাঙ্গা পরিস্থিতি। জ্বালিয়ে দেওয়া হয় বাস, চালানো হয় লুঠপাট। আরও তিনটি প্রদেশে একই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। রাতভর এই অস্থির পরিস্থিতির পর গ্রেফতার করা হয়েছে বহু মানুষকে।