Nobel Prize 2025

ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া! প্রথম প্রতিক্রিয়া ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রীর, বললেন, ‘নতুন প্রেরণা’

চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৪টি সংগঠনের সম্মাননার জন্য। মনোনয়নের তালিকায় ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নামও।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২৭
Share:

(বাঁ দিকে) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং নোবেল শান্তি পুরস্কারপ্রাপক ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো (ডান দিকে)। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

অন্তত সাতটি যুদ্ধ থামিয়েও এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পাননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পকে টপকে নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া কোরিনা মাচাদো। প্রথম প্রক্রিয়ায় তিনি এ বার সেই ট্রাম্পকেই নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন। কেন তিনি এই কথা বললেন, তার ব্যাখ্যাও দিয়েছেন মারিয়া। পাশাপাশি এ-ও বলেন, ‘‘এই স্বীকৃতি ভেনেজ়ুয়েলার মানুষের সংগ্রামের জন্য এক নতুন অনুপ্রেরণা।’’

Advertisement

চলতি বছর নোবেল শান্তিতে ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। তার মধ্যে ৯৪টি সংগঠনের সম্মাননার জন্য মনোনয়ন জমা পড়েছিল। সেই তালিকায় ছিল আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নাম। শেষ পর্যন্ত ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়াকেই এ বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার দিচ্ছে নোবেল কমিটি। কেন তাঁকে নোবেল শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, তার ব্যাখ্যাও দেওয়া হয়েছে। কমিটির চেয়ারম্যান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস জানান, ভেনেজ়ুয়েলার বিরোধী দল এককালে দ্বিধাবিভক্ত ছিল। তাদের একত্রিত করার কৃতিত্ব মারিয়ার। বিরোধীদলগুলিকে একত্রিত করে অবাধ নির্বাচন এবং প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলে ধরেছেন তিনি। তাঁর এই কৃতিত্বকে সম্মান জানাতেই তাঁকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে বলে জানায় নোবেল কমিটি।

কেন ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কার দেওয়া হল না, তা নিয়ে নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। সেই আবহে ট্রাম্পকে নোবেল শান্তি পুরস্কার উৎসর্গ করলেন মারিয়া। তাঁর কথায়, ‘‘গণতন্ত্র এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার জনগণকে আমাদের প্রয়োজন।’’ ট্রাম্পকে ‘বন্ধু’ হিসাবেও উল্লেখ করেছেন মারিয়া। শেষে মারিয়া জানান, তাঁর এই পুরস্কার তিনি ভেনেজ়ুয়েলার জনগণ এবং ট্রাম্পকে উৎসর্গ করছেন।

Advertisement

গত বছর ভেনেজুয়েলায় ভোটের সময় কারচুপির অভিযোগ উঠেছিল। সে সময় দেশের প্রেসিডেন্ট পদে ছিলেন নিকোলাস মাদুরো। ২০১৩ সাল থেকে ভেনেজ়ুয়েলার প্রেসিডেন্ট পদে রয়েছেন তিনি। যদিও তাঁকে রাষ্ট্রপ্রধান হিসাবে মানতে নারাজ ওয়াশিংটন। আমেরিকার অভিযোগ, অন্যায় ভাবে কারাকাসের কুর্সি দখল করে রেখেছেন নিকোলাস। তাঁর আমলে সাম্প্রতিক সময়ে বার বার ভেনেজ়ুয়েলায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন সেনা। আর তা সবটাই যে হয়েছে ট্রাম্পের ইশারায়, তা বলা বাহুল্য। শুধু তা-ই নয়, ভেনেজ়ুয়েলার ভিতরেও নিকোলাস সরকার কোণঠাসা। তাঁর দলের বিরুদ্ধে ভোটে কারচুপি করার অভিযোগ উঠেছিল। আর সেই অভিযোগ যাঁরা তুলেছিলেন, তাঁদের সামনের সারিতে ছিলেন মারিয়া।

২০২৪ সালের ভোটে মারিয়াকে প্রেসিডেন্ট হওয়ার দৌড়ে শামিল হতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেই নির্বাচনে জিতে প্রেসিডেন্ট পদ ধরে রাখেন নিকোলাস। তবে দেশবাসী মনে করেন, সেই নির্বাচনে আসল বিজয়ী মারিয়াই। সে কারণে কমিটি তাঁর নাম ঘোষণা করতে গিয়ে বলে, মারিয়া হলেন ‘সাহসী এবং শান্তির প্রতিশ্রুতিবদ্ধ চ্যাম্পিয়ন’। কমিটি আরও বলে, ভেনেজুয়েলায় যখন ‘অন্ধকার’ তখনও গণতন্ত্রের আগুন জ্বালিয়ে রেখেছিলেন মারিয়া। সেই মারিয়া এ বার তাঁদের লড়াইয়ে ট্রাম্পের সমর্থনের কথা তুলে ধরলেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement