ঘন ঘন মার্কিন টহলদারি চলবে সমুদ্রে, চিনকে হুঁশিয়ারি আমেরিকার

চার মাসে অন্তত বারদুয়েক। তার বেশিও হতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরে এই ভাবে নিয়মিত টহলদারি চালাবে আমেরিকা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৫ ১৪:৫৬
Share:

চার মাসে অন্তত বারদুয়েক। তার বেশিও হতে পারে। দক্ষিণ চিন সাগরে এই ভাবে নিয়মিত টহলদারি চালাবে আমেরিকা।

Advertisement

পেন্টাগনের তরফে আজ এ কথা স্পষ্ট ভাবেই জানিয়ে দেওয়া হল। এটাও বুঝিয়ে দেওয়া হল, এ ব্যাপারে বেজিংয়ের আপত্তি, অসন্তোষ যদি থেকেও থাকে, তা ‘অযৌক্তিক’।

আমেরিকার উপ জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বেন রোডস বলেছেন, ‘‘আন্তর্জাতিক আইন মেনেই বছরভর সারা বিশ্বে সমুদ্রে টহল দেয় মার্কিন নৌবাহিনী। দক্ষিণ চিন সাগরে মার্কিন রণতরী ‘ইউএসএস-ল্যাসেন’ পাঠানোর ঘটনা আসলে তেমনই একটি ‘রুটিন’! এটা আমাদের বোঝানোর দায়িত্ব যে, আমরা ওই এলাকায় রয়েছি। আরও কিছু দিন থাকতে চলেছি। তবে যুদ্ধ আমাদের কাম্য নয়। আমরা শান্তি বজায় রাখার জন্যই ওই অঞ্চলে রয়েছি।’’ এর মানে, ওই সমুদ্র থেকে তার নৌবহর চট করে সরিয়ে নিচ্ছে না ওয়াশিংটন।

Advertisement

কখনও সোজাসাপ্টা হুঁশিয়ারি। কখনও বা আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কথা ভেবে রেখে-ঢেকে কথা বলার চেষ্টা। দক্ষিণ চিন সাগরে যে এলাকাটিকে চিন তার ‘নিজস্ব এলাকা’ বলে বহু দিন ধরে দাবি করে আসছে, সেই ১২ নটিক্যাল মাইল ডিঙিয়ে সুবি ও মিসচিফ রিজের মাঝামাঝি অঞ্চলে মার্কিন রণতরী ঢুকে পড়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে এই ভাবেই পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ওয়াশিংটন।

এর আগে, পেন্টাগনের তরফে জানানো হয়েছিল, সপ্তাহ দুয়েকের মধ্যেই আরও কয়েকটি সর্বাধুনিক মার্কিন ডেস্ট্রয়ার পাঠানো হচ্ছে দক্ষিণ চিন সাগরে। তারই প্রেক্ষিতে বেজিং ওই অঞ্চলে মোতায়েন তাদের নৌবহরে পাঠায় একটি সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র। আপৎকালীন পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে। কোনও কারণে ওই অঞ্চলে যুদ্ধ বাধলে, বেজিং তার জন্য ভাল রকম প্রস্তুত বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়।

এই পরিস্থিতিতে ওয়াশিংটন আবার বুঝিয়ে দিল, দক্ষিণ চিন সাগর থেকে চট করে মার্কিন রণতরী সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন