সারার সঙ্গে ইয়ারন। ছবি: সংগৃহীত।
সারার জন্য আংটি কিনেছিলেন ইয়ারন। আগামী সপ্তাহে জেরুজ়ালেমে গিয়ে সেই আংটি দিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ছিল ইয়ারনের। কিন্তু তা আর হল না। তার আগেই ওয়াশিংটনে গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে গেলেন ইজ়রায়েলি দূতাবাসের ওই দুই কর্মী। বুধবার রাতে ওয়াশিংটন ডিসিতে একটি ইহুদি সংগ্রহশালায় অনুষ্ঠান দেখে বার হওয়ার সময়ে তাঁদের গুলি করা হয়। নিজেদের দূতাবাসের দুই কর্মীর মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন আমেরিকায় নিযুক্ত ইজ়রায়েলের দূত ইয়েচিয়েল লেইটার। তিনি জানিয়েছেন, ইয়ারন এবং সারার সম্পর্কের কথা।
লেইটার বলেন, ‘‘তরুণ ইয়ারন চলতি সপ্তাহে একটি আংটি কিনেছিলেন। আগামী সপ্তাহে জেরুজ়ালেমে বান্ধবীকে সেই আংটি পরিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার কথা ছিল। ওঁরা খুব সুন্দর যুগল ছিলেন।’’ আমেরিকায় ইজ়রায়েলের দূতাবাস এই হামলাকে ধিক্কার জানিয়ে সমাজমাধ্যমে বিবৃতি দিয়েছে। তারা লিখেছে, ‘‘ইয়ারন এবং সারা আমাদের বন্ধু, সহকর্মী ছিলেন। অল্প বয়স তাঁদের। ওয়াশিংটন ডিসিতে ইহুদি সংগ্রহশালা থেকে বার হওয়ার সময় তাঁদের গুলি করা হয়। দূতাবাসের কর্মীরা ভেঙে পড়েছেন। আমাদের শোকপ্রকাশের ভাষা নেই। ওঁদের পরিবারকে সমবেদনা জানাই।’’ ইজ়রায়েলি প্রশাসন এই হত্যাকে ‘সন্ত্রাসবাদ’ বলে ব্যাখ্যা করেছে।
এই ঘটনায় ৩০ বছরের এক যুবককে সন্দেহভাজন হিসাবে গ্রেফতার করেছে মার্কিন পুলিশ। তাঁর নাম এলিয়াস রডরিগেজ়। শিকাগোর বাসিন্দা তিনি। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এলিয়াসকে গ্রেফতারের পরেই তিনি চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘‘প্যালেস্টাইনকে মুক্ত করো।’’ ওয়াশিংটন পুলিশের প্রধান পামেলা স্মিথ বলেন, ‘‘আমরা মনে করছি এক জনই গুলি চালিয়েছিলেন। তাঁকে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। হামলার আগে তাঁকে ওই সংগ্রহশালার বাইরে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। এর পরে চার জনের একটি দলের কাছাকাছি গিয়ে গুলি চালান তিনি। গুলি চালানোর পরে ওই সন্দেহভাজন ব্যক্তি সংগ্রহশালার ভিতরে ঢুকে পড়েন। তখন তাঁকে ধরে ফেলেন রক্ষীরা।’’