Viral

১ লাখ ২০ হাজার বছরের পুরনো মানুষের পায়ের ছাপ আরবের শুকিয়ে যাওয়া হ্রদে

সৌদি আবরবের তাবুক অঞ্চলের উত্তরে একটি পুরনো শুকিয়ে যাওয়া হ্রদ রয়েছে। সেখানেই মানুষের সাতটি পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

তাবুক, সৌদি আরব শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ১৮:০৮
Share:

টুইটার থেকে নেওয়া ছবি।

এক জোড়া মানুষের পায়ের চিহ্নের খোঁজ মিলল সৌদি আরবে। ভাবছেন এর মধ্যে আবার নতুনত্বের কী আছে? আছে, আসলে এই পায়ের ছাপ আজ, কাল বা পরশুর নয়, এর বয়স প্রায় এক লাখ ২০ হাজার বছর। আর এই পায়ের ছাপ থেকে বিজ্ঞানীরা এমন কিছু তথ্য খুজে পাচ্ছেন যা অন্য কোনও জীবাশ্মে পাওয়া যায় না।

Advertisement

সৌদি আবরবের তাবুক অঞ্চলের উত্তরে একটি পুরনো শুকিয়ে যাওয়া হ্রদ রয়েছে। সেখানেই মানুষের সাতটি পায়ের ছাপ খুঁজে পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, আরব উপদ্বীপে খুঁজে পাওয়া পায়ের ছাপের মধ্যে এগুলি সবচেয়ে পুরনো। পায়ের ছাপগুলি দেখে তাঁরা জানিয়েছেন, এটি দু’জন মানুষের হেঁটে যাওয়ার চিহ্ন ধরে রেখেছে।

এই পায়ের ছাপ থেকে বিশেষজ্ঞরা বোঝার চেষ্টা করছেন, কোন পথে তখনকার দিনে মানুষ বাইরে বেরিয়েছে। এই গবেষণার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন জার্মানির ম্যাক্স প্লাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইকলজির গবেষক ম্যাথু স্টুয়ার্ট। তিনি জানিয়েছেন, পায়ের চিহ্ন জীবাশ্মের একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ রূপ। এর মাধ্যমে সেই সময়ের এক একটা মুহূর্ত ধরা থাকে। যেখান থেকে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায় যা অন্য কোনও ভাবে সম্ভব নয়।

Advertisement

আরও পড়ুন: এ যেন ‘রামধনু’ ভুট্টা, এমন মুক্তোর মতো দানা পেতে পারেন আপনার বাগানেও

আরও পড়ুন: দেখতে ইঁদুর কিন্তু খরগোসের মতো কান আর ক্যাঙারুর মত পা, জারবোয়া এক অদ্ভুত প্রাণী

বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সেই সময়ে এই হ্রদটি জল পানের জন্য ব্যবহার করত মানুষ। আবার প্রাণীরাও এই হ্রদটি একই কাজে ব্যবহার করত। কারণ, মানুষের সাতটি পায়ের ছাপের পাশাপাশি ২৩৩টি এমন জীবাশ্ম পাওয়া গিয়েছে, যেগুলিতে হাতি-সহ অন্যান্য প্রাণীর পায়ের ছাপ মিলেছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ফসিলগুলির কিছু ছবি ছড়িয়ে পড়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন