Viral

পরীক্ষায় চুরি করতে গিয়ে টেকস্যাভি শিক্ষকের পাতা ফাঁদে ১৪ পড়ুয়া

চিটিং করা ছাত্রদের ওই প্রশ্নে শূন্য দেওয়া হয়। এবং বাকি ছাত্রদের ওই প্রশ্নে ফুল মার্কস দিয়ে দেন শিক্ষক। সেই সঙ্গে ওই ১৪ ছাত্রের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষকদের জানিয়ে দেন যাতে তাঁদের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ ১৯:৩৮
Share:

প্রতীকী চিত্র।

পরীক্ষায় বেশি নম্বর পাওয়ার জন্য কিছু ছাত্র টুকলি করার নিত্য নতুন পন্থা অবলম্বন করেন। আর তাঁদের ধরতে কিছু শিক্ষকও নিরন্তর ‘রণ কৌশল’ বদলাতে থাকেন। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া রেডিট-এ ভাইরাল হওয়া এই শিক্ষকের কাহিনী সব কিছুকে পিছনে ফেলে দিল।

Advertisement

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘দ্য মিরর’ একটি ছাত্রের রেডিট অ্যাকাউন্টের পোস্ট উল্লেখ করে টুকলি ধরতে এক শিক্ষকের কৌশলের খবর প্রকাশ করেছে।শিক্ষক বা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উল্লেখ করেনি দ্য মিরর। মিরর জানিয়েছে, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষক ছাত্রদের জন্য এমন ফাঁদ পেতে ছিলেন যে তাতে ১৪ জন ছাত্র পা দিয়ে ফেঁসে গেলেন।

রেডিট-এ ওই ছাত্র লিখেছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ইঞ্জনিয়ারিংয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা চলছিল। সেখানে একটি প্রশ্ন দু’টি ভাগে এসেছিল। প্রথম অংশের উত্তর কেউ কেউ লিখতে পারলেও দ্বিতীয় অংশের অদ্ভুত প্রশ্নের উত্তর কারও জানা ছিল না। কারণ সেটি সিলেবাস বহির্ভূত। ফলে অনেকেই পরীক্ষা দিতে দিতে শৌচালয়ে যান। তাঁদের মধ্যে কয়েক জন শৌচালয়ে মোবাইলে ‘চেগ’ নামে একটি ওয়েব সাইটে গিয়ে উত্তর খুঁজে এসে খাতায় লিখে দেন।

Advertisement

এর পর পরীক্ষার ফল বেরলে দেখা যায় পরীক্ষায় বসা ৯৯ জনে মধ্যে ১৪ জনকে প্রশ্নটিতে শূন্য দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের ইমেল করে পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বন করার জন্য সতর্ক করে দিয়েছেন ওই শিক্ষক।

আসলে পরিকল্পনা শুরু হয়েছিল এক মাস আগেই। ছাত্ররা ভেবেছিলেন চেগ নামের ওয়েবসাইটটির কথা শিক্ষকরা জানেন না। কিন্তু ওই শিক্ষক এক মাস আগেই চেগ-এ একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন। সেখানে পরীক্ষায় যে অদ্ভুত প্রশ্ন এসেছিল, তার একটি উদ্ভট উত্তর লিখে পোস্ট করে দেন।

পরীক্ষার্থীরা যখন ওই প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারেননি, তাঁদের কয়েক জন চেগ-এ লগইন করে ওই প্রশ্নটিই টাইপ করেন। আর সেখানে শিক্ষকের আপলোড করা ভুল উত্তরটিই বেরিয়ে আসে। ১৪ জন সেই উত্তর হুবহু খাতায় লিখে দেন। ফলে তাঁদের অসদুপায় ধরতে কোনও অসুবিধা হয়নি ওই শিক্ষকের।

চিটিং করা ছাত্রদের ওই প্রশ্নে শূন্য দেওয়া হয়। এবং বাকি ছাত্রদের ওই প্রশ্নে ফুল মার্কস দিয়ে দেন শিক্ষক। সেই সঙ্গে ওই ১৪ ছাত্রের নাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাকি শিক্ষকদের জানিয়ে দেন যাতে তাঁদের উপর বিশেষ নজর রাখা হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন