V-Day Parade in China

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে পুতিন, কিম-সহ বিদেশের ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রণ চিনের! ট্রাম্পকে শক্তিপ্রদর্শন বেজিঙের?

মঙ্গলবারই চিন প্রভাবিত রাষ্ট্রজোট সাংহাই কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর দু’দিনের বৈঠক শেষ হচ্ছে। ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। তিনি আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০২৫ ১৫:১৯
Share:

(বাঁ দিক থেকে) ভ্লাদিমির পুতিন, কিম জং উন এবং শি জিনপিং। —ফাইল চিত্র।

বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, উত্তর কোরিয়ার অবিসংবাদী নেতা কিম জ‌ং উন-সহ বিভিন্ন দেশের ২৬ জন নেতাকে আমন্ত্রণ করছে চিন। আগামী বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তাঁরা বেজিংয়ে উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন চিনের সহকারী বিদেশমন্ত্রী হং লেই। ঘটনাচক্রে, মঙ্গলবারই চিন প্রভাবিত রাষ্ট্রজোট সাংহাই কোঅপারেটিভ অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর দু’দিনের বৈঠক শেষ হচ্ছে। ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীরও। তিনি আমন্ত্রিতদের তালিকায় রয়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

রাশিয়া থেকে সবচেয়ে বেশি তেল কেনে চিন। তবে অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বিশ্বে তাদের সবচেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী চিনের বিরুদ্ধে এখনও জরিমানা-শুল্ক চাপাননি ডোনাল্ড ট্রাম্প। ভারতীয় পণ্যে অবশ্য ৫০ শতাংশ শুল্ক চাপিয়েছে আমেরিকা। তবে আমেরিকার ‘দাদাগিরি’র বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই সরব হয়েছে বেজিং। শত্রুতা ভুলে ভারতের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গেও সখ্য বৃদ্ধির ইঙ্গিত দিয়েছে শি জিনপিঙের প্রশাসন। এই আবহে তাদের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে বিদেশের ২৬ জন নেতাকে হাজির করানো পরোক্ষে ট্রাম্প এবং পশ্চিমের দেশগুলিকে চিনের শক্তিপ্রদর্শন বলেই মনে করা হচ্ছে।

এ বার তিয়ানজিনে বসছে এসসিও সম্মেলনের আসর। ওই সম্মেলনে যোগ দিতে চিন যাবেন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফও। এর আগে চিন জানিয়েছিল, বিভিন্ন দেশের ২০ জন প্রতিনিধি ওই সম্মেলনে যোগ দেবেন। ওই সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রাষ্ট্রপুঞ্জের মহাসচিব আন্তোনিয়ো গুতেরেসেরও। এই আবহে বৃহস্পতিবার বেজিং তাদের বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে আমন্ত্রিতদের নাম জানাল। তবে পুতিন আর কিম ছাড়া ওই তালিকায় আর কারা রয়েছেন, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

Advertisement

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের অবসান এবং জাপানের বিরুদ্ধে চিনের যুদ্ধজয়কে স্মরণীয় রাখতে ৩ সেপ্টেম্বর দিনটি বিজয় দিবস হিসাবে পালন করে বেজিং। এ বার ৮০তম বিজয় দিবস পালন করতে চলেছে তারা। ওই দিনটি ‘জাপানের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধের জয়’ হিসাবে দেখাতে চাইছে চিন। বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছে জাপান। জাপানের সংবাদ সংস্থা কিয়োডো-র প্রতিবেদন অনুসারে, জাপান তাদের দূতাবাসগুলির মাধ্যমে বিভিন্ন দেশকে চিনের এই পরিকল্পনা নিয়ে সতর্ক করেছে। বেজিং অবশ্য নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড়। এই নিয়ে বেজিং-টোকিয়ো সম্পর্কে ফের টানাপড়েন দেখা যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। উল্লেখযোগ্য যে, দু’দিনের জাপান সফর শেষে চিন যাচ্ছেন মোদী।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement