Ukraine US Relationship

সৌদিতে যাবেন, কিন্তু মার্কিন কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন না জ়েলেনস্কি, কোন পথে দুই দেশের সম্পর্ক

আগামী সপ্তাহে জ়েলেনস্কি সৌদি সফরে যাবেন। কিন্তু মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন না। নিজের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দেবেন। তাঁরা আমেরিকার সঙ্গে ‘শান্তি আলোচনায়’ যোগ দেবেন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৭ মার্চ ২০২৫ ১২:৪৯
Share:

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি। —ফাইল চিত্র।

আমেরিকার আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসবেন ইউক্রেনের কর্তারা। তবে আমেরিকা বা ইউরোপে নয়। বৈঠক হবে সৌদি আরবে। সেই বৈঠকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি নিজে উপস্থিত থাকবেন না। নিজের প্রতিনিধিদের পাঠিয়ে দেবেন। বৃহস্পতিবার রাতের ভাষণে এমনটাই জানিয়েছেন তিনি। আগামী সপ্তাহে জ়েলেনস্কি সৌদি সফরে যাবেন। কিন্তু মার্কিন আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন না।

Advertisement

জ়েলেনস্কি বলেছেন, ‘‘সৌদি আরবের রাজার সঙ্গে দেখা করতে আমি সেখানে যাব। তার পর আমার প্রতিনিধিদল সেখানে থেকে যাবে। আমেরিকার কর্তাদের সঙ্গে আলোচনা করবে তারা। ইউক্রেন সব সময় শান্তিতে আগ্রহী। আমরা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকেও বলেছি, দ্রুত এবং নির্ভরযোগ্য শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য ইউক্রেন সব সময় কাজ করবে।’’

সম্প্রতি ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করতে হোয়াইট হাউসে গিয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। কিন্তু প্রকাশ্যে তাঁদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। ট্রাম্প জানান, জ়েলেনস্কি তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে খেলছেন। শান্তি চাইছেন না। আবার জ়েলেনস্কি পাল্টা দাবি করেন, রাশিয়ার সঙ্গে সমঝোতার পথে হাঁটা সম্ভব নয়। কারণ, ইউক্রেনের স্বাধীনতা এবং সার্বভৌমত্বের সঙ্গে তিনি কখনও আপস করবেন না। আমেরিকার কাছ থেকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা চেয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। ট্রাম্প এবং আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সের সঙ্গে তাঁর বিতণ্ডা সারা বিশ্ব দেখেছে। তার পর মধ্যাহ্নভোজ না-করেই হোয়াইট হাউস ছাড়েন জ়েলেনস্কি। বাতিল হয়ে যায় আমেরিকা এবং ইউক্রেনের মধ্যে বহু আলোচিত খনিজ চুক্তি।

Advertisement

আমেরিকা থেকে সোজা ব্রিটেনে চলে গিয়েছিলেন জ়েলেনস্কি। ট্রাম্পের সঙ্গে বিতণ্ডার পর তিনি ইউরোপের একাধিক দেশকে পাশে পেয়েছেন। ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা খাতে বিশেষ ঋণও দিয়েছে ব্রিটেন। ইউক্রেনে সেনা সরবরাহ এবং আর্থিক সাহায্যের জন্য একযোগে কাজ করছে ব্রিটেন এবং ফ্রান্স।

যদিও জ়েলেনস্কি মেনে নিয়েছেন, আমেরিকাকে তাঁর প্রয়োজন। তিনি জানিয়েছেন, ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করা সম্ভব। দুই দেশের সম্পর্ক যাতে আবার আগের মতো হয়ে ওঠে, তার চেষ্টা চলছে। সৌদি আরবে আমেরিকান কর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনের বৈঠকও সেই শান্তি এবং সম্প্রীতির বার্তা বহন করছে বলে মত পর্যবেক্ষকদের একাংশের।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement