ছবি রয়টার্স।
ভারতকে তারা অন্যতম বন্ধু দেশ মনে করে বলে আজ জানিয়েছে ওয়াশিংটন। ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে বলা হয়েছে, ‘‘আগেও যেমন হয়েছে, ভবিষ্যতেও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে কাজ করবে ওয়াশিংটন।’’ ঘটনাচক্রে, আজই আবার নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শীঘ্রই চিনের প্রেসিডেন্ট শি চিনফিংয়ের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন নরেন্দ্র মোদী। যে চিনের সঙ্গে ‘বাণিজ্য-যুদ্ধ’ চলছে আমেরিকার।
২০১৮ সালে উহান-বৈঠকের পরে ডোকলাম-সমস্যার বরফ খানিকটা গলেছিল। সেই সময়ে চিনফিংকে আমন্ত্রণ জানিয়ে এসেছিলেন মোদী। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে আজ জানানো হয়েছে, দু’পক্ষ একে অন্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ রাখছে। বৈঠকের দিনক্ষণ ও স্থান ঠিক হলে জানানো হবে। আগামী জুনে জাপানের ওসাকায় জি-২০ সম্মেলনের ফাঁকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করার কথা মোদীর। আবার সেপ্টেম্বরেও রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশন চলাকালীন নিউ ইয়র্কে দুই রাষ্ট্রনেতার দেখা হওয়ার কথা। জি-২০ সম্মেলনের আগে দিল্লিতে আসার কথা রয়েছে বিদেশ সচিব মাইক পম্পেয়োরও। গত কালই ‘বন্ধুত্বের’ নিদর্শন দেখিয়ে বিদেশি মুদ্রা নীতির নজরদারি তালিকা থেকে ভারতকে বাদ দিয়েছে আমেরিকা। এই পরিস্থিতিতে ভারত-চিন বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে কূটনৈতিক মহল।
ডোকলামকে কেন্দ্র করে গত বছর ভারত-চিন উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছিল। ২০১৮-র এপ্রিলে উহানে বৈঠকে বসেছিলেন চিনফিং ও মোদী। সেখানেই শান্তি-চুক্তিতে পৌঁছন দুই রাষ্ট্রনেতা। সীমান্তে দু’দেশের সেনাবাহিনীকে নিজেদের মধ্যে সমন্বয় বৃদ্ধির নির্দেশ দেন মোদী-চিনফিং। ডোকলামের বরফ গলে। এ সময়ে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন ভারতে চিনের রাষ্ট্রদূত লু ঝাউহুই। সূত্রের খবর, ওই বিদায়ী রাষ্ট্রদূত ঝাউহুইকে চিনের উপবিদেশ মন্ত্রী নিয়োগ করা হচ্ছে। ভারতে নতুন চিনা রাষ্ট্রদূত হবেন সান ওয়েইডং। এত দিন তিনি পাকিস্তানে চিনের রাষ্ট্রদূত ছিলেন। চিন ও দক্ষিণ-এশিয়া বিষয়ক সমস্যা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই কাজ করছেন তিনি। এখনও অবশ্য সরকারি ভাবে এই রদবদল ঘোষণা করেনি চিন।