যোগাযোগ ব্যবস্থায় এক অনন্য নজির? সমুদ্রের তলা দিয়েই চলবে ট্রেন! এমনটাও কী হতে পারে? আস্ত একটা সাবমেরিন নাকি ট্রেনটা!
মুম্বই থেকে ফুজাইরাহ পর্যন্ত চালু হওয়ার কথা চলছে এই ট্রেনের। দ্রুতগতির এই ট্রেনের কথা প্রথম উঠে আসে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি(ইউএই)-ভারত কনক্লেভে।
আমিরশাহির জাতীয় উপদেষ্টা কমিশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর জানিয়েছেন এই ট্রেনের ভাবনার কথা।
আমিরশাহির মাসদারের এক স্টার্ট আপ সংস্থা তৈরি করছে এই প্রযুক্তি। তারাই প্রথম এই প্রস্তাব দেয়।
আলশেহি সংবাদমাধ্যম সূত্রের খবর, এই প্রকল্পে প্রথমেই সমীক্ষা করে দেখতে হবে এই ধরনের কোনও রেললাইন পাতা যাবে কিনা। দূরত্বটাও মাথায় রাখতে হচ্ছে।
২০০০ কিলোমিটার বিস্তৃত হবে এই রেলপথ। ৩০০ কিমি প্রতি ঘণ্টায় জলস্তরের ভারসাম্য বজায় রেখেই এই ট্রেনে পরিষেবা চালু হতে পারে।
ট্রেনগুলিতে যাত্রী পরিবহণ ছাড়াও জল, তেল বিনিময় হবে এই পথে। ফুজাইরাহ থেকে তেল আসবে মুম্বই বিমানবন্দরে আর নর্মদা নদীর জল যাবে ওই দেশে।
আবদুল্লা আলশেহি এই সংস্থার তরফে বলেন, এই বিপুল গতি সম্পন্ন ট্রেনটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে দৃঢ় করবে।
ম্যাগনেটিক ফ্লোটিং ট্রেন (মাগলিভ) রেললাইন ও ইঞ্জিনের মধ্যে কোনও ঘর্ষণ থাকবে না। ম্যাগনেটিক রিপালশন সিস্টেম বেসড সুইফ্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টেশন (চৌম্বকীয় বিকর্ষণ সম্পন্ন) পদ্ধতিতে চলবে এই ট্রেন।
দুই জোড়া চুম্বক ঠেলে এগিয়ে দেবে ট্রেনটিকে। ফলে যাত্রা হবে আরামদায়ক ও দ্রুত।
জাপান, কোরিয়া, কানাডায় রয়েছে এই ধরনের ব্যবস্থা। অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা, ইজরায়েল, ব্রিটেনও চেষ্টা করছে এই রেলপথকে তাদের দেশে চালু করার।
সম্প্রতি নিনগোবো-সাংহাই ও জেসুহান সমুদ্রের নীচ দিয়ে রেল পথে জুড়ে দেওয়ার ব্যাপারে সবুজ সঙ্কেত দিয়েছে চিন সরকার।