Britain PM

ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে? ঋষির সঙ্গে ঘুরছে আরও এক নাম

প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লিজ় ট্রাসের বিপরীতে লড়েছিলেন ঋষি। তাঁকে পরাজিত করে মসনদে বসেন ট্রাস। ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দপতন। দলের মধ্যেই ট্রাসকে নিয়ে বিরোধিতা মাথা চাড়া দিয়েছিল।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

লন্ডন শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২২ ২২:৪৩
Share:

লিজ় ট্রাসের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, শুরু জল্পনা। ছবি সংগৃহীত।

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে আচমকা পদত্যাগ করেছেন লিজ় ট্রাস। তাঁর পর ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী কে হবেন, তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। উঠে আসছে একাধিক নাম। তবে এ ক্ষেত্রে দৌড়ে প্রথমেই রয়েছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনক।

Advertisement

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে লিজ় ট্রাসের বিপরীতে লড়েছিলেন ঋষি। কিন্তু তাঁকে পরাজিত করে মসনদে বসেন ট্রাস। ৬ সপ্তাহের মধ্যেই ছন্দপতন। দলের মধ্যেই ট্রাসকে নিয়ে বিরোধিতা মাথা চাড়া দিয়েছিল বলে সংবাদমাধ্যম সূত্রে দাবি। কেউ কেউ বলছেন, অর্থনীতি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত সমালোচিত হওয়ার পরেই ট্রাসের পদত্যাগ এক প্রকার নিশ্চিত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, ব্রিটেনের রাজনীতিতে এখন একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে। এর পর কে হবেন প্রধানমন্ত্রী?

পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর দৌড়ে ঋষি সুনকের পরেই উঠে আসছে কনজার্ভেটিভ পার্টির নেত্রী পেনি মর্ডন্টের নাম। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনের চতুর্থ এবং পঞ্চম রাউন্ডে সাংসদদের ভোট অনুযায়ী সুনকের পরেই ছিলেন তিনি। দলেও তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। এ ছাড়া, ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে ছিলেন জেরেমি হান্ট। কিন্তু নিজেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি প্রধানমন্ত্রী হতে চান না।

Advertisement

বৃহস্পতিবার ১০ নম্বর ডাউনিং স্ট্রিটের বাসভবনের সামনে দাঁড়িয়ে বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী ট্রাস জানান, পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই দায়িত্ব সামলাবেন। তবে আগামী সপ্তাহেই হবে নির্বাচন। ট্রাস বলেন, ‘‘আজ সকালেই পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী বেছে নেওয়ার ব্যাপারে আমার কথা হয়েছে ১৯২২ কমিটির চেয়ারম্যান স্যর গ্রাহাম ব্র্যাডির সঙ্গে। পরবর্তী নেতৃত্ব বেছে নেওয়ার জন্য আগামী সপ্তাহেই একটি নির্বাচন হতে চলেছে। দেশের নিরাপত্তা যাতে কোনও ভাবেই বিঘ্নিত না হয় তা নিশ্চিত করবে ওই নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসা পরবর্তী নেতৃত্ব।’’

ট্রাসের পদত্যাগের সিদ্ধান্তের পর ব্রিটেনের ইতিহাসে সবচেয়ে সংক্ষিপ্ত মেয়াদের প্রধানমন্ত্রী হলেন তিনি। শপথ নেওয়ার দিন থেকে ইস্তফা পর্যন্ত মাত্র ৪৫ দিন দায়িত্ব সামলেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন