শেখ হাসিনা। —ফাইল চিত্র।
এক বছরেরও বেশি সময় আগে ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ ঘিরে দানা বাঁধা প্রবল জনবিক্ষোভের জেরে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে দল। দলনেত্রী শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রিত্বে ইস্তফা দিয়ে দেশ ছেড়েছেন। এমনকি, মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার ‘নিষিদ্ধ’ ঘোষণা করেছে মুক্তিযুদ্ধের ঐতিহ্যবাহী আওয়ামী লীগকে। সেই দল কি বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে? জবাব দিল নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশের নির্বাচন কমিশনার মহম্মদ আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, ‘‘যে দলটির কথা বলা হচ্ছে, আইনগত ভাবে এখন ওই দলটির (আওয়ামী লীগ) কার্যক্রম স্থগিত আছে। স্থগিত থাকলে তো স্থগিত। সব কিছুই স্থগিত।’’
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ায় বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সে দেশের নির্বাচন কমিশন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের লক্ষ্যে জোরকদমে প্রস্তুতি নেওয়ার পালা চলছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসিরউদ্দিন। এ বার আনোয়ারুলও বললেন, ‘‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনও কাজ কিংবা কোনও ঘটনা এখনও ঘটেনি। অনেক কিছুই গণমাধ্যমে আসছে। আশা রাখি এগুলোতে আমাদের নির্বাচনে কোনও প্রভাব পড়বে না। ফেব্রুয়ারি মাসে, রমজান মাসের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’’
হাসিনার দল সেই নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে কি না, তা নিয়ে অনেক দিন ধরেই তর্ক-বিতর্ক চলছে। সেই আবহে সম্প্রতি বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’য় একটি জনমত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছিল। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোন দল কত শতাংশ ভোট পেতে পারে, সে বিষয়ে তরুণ-তরুণীদের মতামত সংগ্রহ করেছিল জনমত সমীক্ষা সংস্থা সানেম ও অ্যাকশনএইড। তাতে দেখা গিয়েছিল, সে দেশের যুবসমাজের একাংশ এখনও হাসিনার দলকে সমর্থন করেন। জাতীয় সংসদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ যদি প্রতিদ্বন্দ্বিতার সুযোগ পায়, তা হলে তরুণ প্রজন্মের (৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত) ১৫ শতাংশের কিছু বেশি ভোট পেতে পারে। জনমত সমীক্ষা রিপোর্টে এক নম্বরে রয়েছে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জ়িয়ার দল বিএনপি। তাঁদের প্রতি ৩৮.৭৬ শতাংশের সমর্থন। জমিয়তে ইসলামি বাংলাদেশ (সে দেশের রাজনীতিতে ‘জামাত’ নামে পরিচিত) ২১.৪৫ শতাংশ এবং ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’-এর একাংশের গড়ে তোলা জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যুবসমাজের ১৫.৮৪ শতাংশ ভোট পেতে পারে বলে ওই সমীক্ষায় পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।