কৈশোর কেটেছে আমদাবাদের অলি-গলিতে ঘুরে বেড়িয়ে। সত্তরের দশকে আমদাবাদ থেকে আমেরিকায় পাড়ি দেয় তাঁর পরিবার। গুজরাতের বাসিন্দা সেই কিশোরী বেশ কিছু দিন চেষ্টার পরে রপ্ত করেছিলেন নতুন দেশের ভাষা, সংস্কৃতি। গত মাসে নিউ ইয়র্কের সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হিসেবে শপথ নিলেন ভারত থেকে আসা উশীর পণ্ডিত ডুর্যান্ট। ভারতীয় বংশোদ্ভূত তো বটেই, এর আগে কোনও দক্ষিণ এশীয় মহিলাও আমেরিকায় এই শিরোপা পাননি।
প্রথমে আমদাবাদে থাকত বিচারক উশীরের পরিবার। সেখানকার একটি সরকারি স্কুলে পড়তেন তিনি। কিন্তু ইংরেজি একেবারেই শেখানো হত না। সংবাদমাধ্যমকে তিনি জানিয়েছেন, তাঁদের পরিবার আমেরিকায় পাকাপাকি ভাবে বসবাস শুরু করার পরে প্রথমে ভীষণ মুশকিলে পড়েছিলেন তিনি। স্কুলে ইংরেজি পড়ানো হত না বলে এ দেশের মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গেলেই সমস্যা হত তাঁর। পর অবশ্য ধীরে ধীরে ইংরেজি শিখে ফেলেন তিনি। রপ্ত করেন মার্কিন সংস্কৃতিও। স্কুলের পড়া শেষ করে সেন্ট জনস বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন। চার বছর পড়ার পরে সেখান থেকে স্নাতক হন উশীর। তার পর তিন বছর পড়েন নিউ ইয়র্কের ল স্কুলে।
ফেব্রুয়ারিতে ৫৭-এ পড়বেন। বিচারক উশীর বললেন, ‘‘ল স্কুল থেকে বেরিয়ে সকলেই চায় কোনও বড় ল ফার্মে যোগ দিয়ে নিশ্চিন্তের চাকরি। সেই রাস্তায় হাঁটতে চাইনি। ল স্কুল থেকে পড়া শেষ করে প্রথমে সহকারী ডিস্ট্রিক্ট অ্যাটর্নি হিসেবে কুইনস প্রদেশের অ্যাটর্নির দফতরে যোগ দিই।’’ গীতা ছুঁয়ে শপথ নিয়েছেন উশীর। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক হওয়ার পরে তিনি এখন থেকে কুইন্স কাউন্টির অপরাধমূলক মামলা বিচার করবেন।