অভিযুক্ত জেম্মা বিঅ্যাল। ছবি:সংগৃহীত।
ইতিমধ্যেই গারদের পিছনে কাটিয়ে ফেলেছেন সাত-সাতটি বছর। এক যুবতীকে ধর্ষণের দায়ে ওই শাস্তি হয়েছে তাঁর। তবে দীর্ঘ সাত বছর পর জানা গেল, অপরাধীর বিরুদ্ধে আনা গোটা অভিযোগই নাকি ভিত্তিহীন। এখানেই শেষ নয়, তিন বছরের মধ্যেই ১৫ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যে অভিযোগ এনেছিলেন ওই যুবতী।
ইংল্যান্ডের মিডলসেক্সের অ্যাশফোর্ডের ঘটনা। আর এই কাণ্ডের পিছনে রয়েছেন বছর পঁচিশের যুবতী জেম্মা বিঅ্যাল। সম্প্রতি সাউথওয়ার্ক ক্রাউন কোর্টে ওই যুবতীর বিরুদ্ধে একটি গ্যারাজে দুই পুরুষের সঙ্গে যৌনকর্মে লিপ্ত হওয়ার প্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। এর পরই কেঁচো খুড়তে কেউটে বেরিয়ে পরে। আইনজীবীদের প্রশ্নের মুখে পড়ে গোটা ঘটনাটি সামনে আসে।
২০১০ সালের ২৬ নভেম্বর প্রথম বার ধর্ষণের অভিযোগ করেছিলেন বিঅ্যাল। পুলিশের কাছে বয়ানে দাবি ছিল, তাঁকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করেছেন মহান কাসিম নামে এক ব্যক্তি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে কাসিমকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে ২০১২ সালের জানুয়ারিতে আইসলওয়ার্থ ক্রাউন কোর্ট কাসিমকে সাত বছরের কারাবাসের সাজা শোনায়।
এখানেই শেষ নয়। এর পর একাধিক বার বহু ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ জানিয়েছেন বিঅ্যাল। ২০১০ সাল থেকে ২০১৩-র মধ্যে মোট ১৫ জন ব্যক্তির বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেছেন তিনি। এমনটাই আদালতের তরফে জানা গিয়েছে। এমনকী, আদালতে বিঅ্যাল নিজেকে সমকামী বলেও দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘‘যে সময় কাসিম আমায় ধর্ষণ করেছিল, তার আগে আমি কোনও পুরুষের সঙ্গে যৌনসঙ্গম করিনি।’’ যদিও বিভিন্ন প্রমাণ এবং শারীরিক পরীক্ষার পর মেডিক্যাল রিপোর্টে জানা গিয়েছে, কৈশোর থেকেই সক্রিয় যৌনজীবন ছিল তাঁর। এমনকী, তিনি নিয়মিত ভাবেই তাঁর বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে যৌনতায় লিপ্ত হতেন। মিথ্যে কথা বলার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। যদিও এই অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা এখনও চলছে। তবে এই তা প্রকাশ্যে আসতেই শিরোনামে চলে এসেছেন বিঅ্যাল।