International News

মাত্র ২০ ডলার দিয়ে ফিরে পেলেন ২ লক্ষ ৫২ হাজার!

লোকটার পরিচয়ও দিয়েছেন কেট। তিনি ববিট জুনিয়র। নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা ববিট গত দেড় বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ নভেম্বর ২০১৭ ১৬:১৬
Share:

এই সেই ব্যক্তি। ছবি সৌজন্য ম্যাক ক্লুর ফেসবুক পেজ থেকে। ইনসেটে ম্যাক ক্লুর।

রাত তখন অনেক। নিউ জার্সি থেকে গাড়ি নিয়ে ফিলাডেলফিয়ায় যাচ্ছিলেন বছর সাতাশের কেট ম্যাকক্লুর। ইন্টারস্টেট ৯৫ দিয়ে হু হু করে গাড়ি ছুটছিল। গোল বাধল ফিলাডেলফিয়া পৌঁছনোর আগেই।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘ধর্ষণের আগে প্রত্যেক বার প্রার্থনা করানো হত’

কেট দেখেন, গাড়ির জ্বালানি ফুরিয়ে গিয়েছে। সুনসান রাস্তা। ফলে গাড়ি থেকে নামতেও ভয় পাচ্ছিলেন তিনি। কেট বলেন, “একেই মধ্যরাত, তার পর জনমানবহীন রাস্তা, ভয়ে আমার হৃদ্স্পন্দন বেড়ে গিয়েছিল।” সেই হৃদ্স্পন্দন আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল যখন কেট দেখেন গাড়িতে যে তেল ভরবেন ন্যূনতম সেই টাকাও নেই তাঁর কাছে! কেটের মাথায় যেন বাজ ভেঙে পড়েছিল সেই মুহূর্তে। কী করবেন দাঁড়িয়ে ভাবছিলেন তিনি। চোখ তুলতেই দেখেন, অন্ধকারের মধ্য থেকে একটা ছায়ামূর্তি বেরিয়ে এল। কেটের ভুল ভাঙল লোকটা কাছে আসতেই। না, কোনও ছায়ামূর্তি নয়, তাঁর সামনে দাঁড়িয়ে আছে এলোমেলো চুল, একমুখ দাড়ি একটি লোক! কেট কিছু বলতে যাবেন, এমন সময় তাঁকে থামিয়ে দিয়ে লোকটা কেটকে গাড়ির ভিতরে বসতে বলেন। ‘এলাকাটা নিরাপদ নয়, গাড়ির ভিতর থাকাটাই আপনার জন্য ভাল।’— এই বলেই লোকটা কেটের গাড়ির দরজা লাগিয়ে দিয়ে অদৃশ্য হয়ে যান। ভয়ে কাঁটা কেট তত ক্ষণে ফোন করে বিষয়টি জানান তাঁর বয়ফ্রেন্ড মার্ককে। কেট দেখেন, কিছু ক্ষণ পরেই লোকটা ফিরে এসেছে। হাতে তেলের একটি ক্যান। নিজের শেষ সম্বল ২০ ডলার খরচ করে কেটের গাড়ির জন্য তেল কিনে এনেছিলেন। গাড়িতে তেল ভরে দেন নিজেই। কেটকে অভয়ও দেন।

Advertisement

আরও পড়ুন: চিনে এ বার নিষিদ্ধ হল স্কাইপও

লোকটার পরিচয়ও দিয়েছেন কেট। তিনি ববিট জুনিয়র। নর্থ ক্যারোলাইনার বাসিন্দা ববিট গত দেড় বছর ধরে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ঘরবাড়ি বলতে কিছুই নেই। কেট জানান, একটি মেয়ে বিপদে পড়েছে বুঝতে পেরেই এগিয়ে আসেন ববিট। তিনি আরও জানান, সে দিন তাঁকে দেওয়ার মতো টাকা আমার কাছে ছিল না। এমনকী, ববিট কোনও টাকাও চায়নি এর জন্য!

এর পর কেট ওই রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় প্রায়ই ববিটের সঙ্গে দেখা করতেন। তাঁকে পোশাক, টাকা এবং প্রয়োজনীয় সামগ্রী দিয়েও সহযোগিতা করেন। এখানেই থেমে থাকেননি কেট। ববিটের একটা স্থায়ী ঠিকানা তৈরির জন্য উঠেপড়ে লাগেন। গোটা ঘটনাটা সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়ে ববিটের জন্য আর্থিক সহযোগিতার আবেদন জানান। তাঁর সেই আবেদনে যথেষ্ট সাড়া মেলে। কয়েক দিনের মধ্যেই সংগৃহীত অর্থের পরিমাণ দাঁড়ায় ২ লক্ষ ৫২ হাজার ডলার!

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement