পার্থের চিড়িয়াখানায় বিশ্বের প্রবীণতম ওরাংওটাং পুয়ান। —এএফপি
মারা গেল বিশ্বের প্রবণতম ওরাংওটাং পুয়ান। বার্ধক্যজনিত কারণে ৬২ বছর বয়সে অস্ট্রেলিয়ার পার্থ চিড়িয়াখানায় সোমবার তার মৃত্যু হয়। ‘গ্র্যান্ড ওল্ড লেডি’ নামে পরিচিত ইন্দনেশিয়ার ‘সুমাত্রান’ প্রজাতির এই ওরাংওটাংয়ের ১১টি সন্তান এবং নাতি-পুতি মিলিয়ে রয়েছে ৫৫ জন উত্তরাধিকার। বিরলতম এই প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষায় পুয়ানের বিরাট অবদান রয়েছে বলেই মনে করেন পশুপ্রেমীরা।
পুয়ানের মৃত্যুর পরই পার্থ চিড়িয়াখানায় তার দেখভালকারী কর্মী একটি শোকবার্তা প্রকাশ করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘‘কয়েক বছর ধরেই পুয়ানের দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে এসেছিল। শ্লথ হয়ে গিয়েছিল চলাফেরার গতি। এমনকী স্মৃতিভ্রমের মতো লক্ষণও ধরা পড়েছিল।’’
চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়েছে, বয়সজনিত নানা সমস্যায় ভুগছিল ২০১৬ সালে প্রবীণতম ওরাংওটাং হিসাবে গিনেস বুকে নাম তোলা পুয়ান। চিকিৎসাতেও তেমন সাড়া দিচ্ছিল না। তাই সোমবার তাকে নিষ্কৃতিমৃত্যু দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: শরণার্থী শিশুর সঙ্কট নিয়ে সরব ট্রাম্পের স্ত্রী
বিশ্বকাপের জন্য হাজার হাজার কুকুর নিধন রাশিয়ায়?
মনে করা হয়, ১৯৫৬ সালে সুমাত্রা দ্বীপের জঙ্গলে তার জন্ম হয়। ১৯৬৮ সাল থেকেই অত্যন্ত বিরল প্রজাতির এই ওরাওটাংটি পার্থের এই চিড়িয়াখানায় আনা হয়। তারপর থেকে এই চিড়িয়াখানাতেই ১১টি সন্তানের জন্ম দেয়। তাদের সন্তান-সন্তুতি মিলিয়ে মোট ৫৬টি ওরাংওটাংয়ের পূর্বপূরুষ পুয়ান। তার বংশধরদের বিশ্বের বিভিন্ন দেশে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজনকে খোলা জঙ্গলেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
সাধারণত ৫০ বছরের বেশি বাঁচে না ইন্দোনেশিয়ার সুমাত্রা দ্বীপের এই ওরাংওটাংরা। পুয়ান সেক্ষেত্রে শুধু নজির সৃষ্টি করেছে তাই নয়, বিশ্বে এই প্রজাতির অস্তিত্ব রক্ষাতেও বিরাট ভূমিকা নিয়েছে বলে মনে করেন পার্থ চিড়িয়াখানার প্রাইমেট সুপারভাইজার হলি টমসন। তিনি বলেন, পুয়ানের মৃত্যু হলেও তার এই অবদান প্রাণী বিশেষজ্ঞ এবং পশুপ্রেমীরা দীর্ঘদিন মনে রাখবে।