Wuhan

Covid in china: ফের দুই রিপোর্টে কাঠগড়ায় উহান

ফের অভিযোগ উঠল, উহানের হুনান সি-ফুড বাজার থেকেই কোভিড-১৯-এর ভাইরাস ছড়িয়েছিল। চিন বারবার অস্বীকার করেছে এই অভিযোগ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

বেজিং শেষ আপডেট: ২৮ জুলাই ২০২২ ০৪:৫৯
Share:

ফাইল ছবি

ফের অভিযোগ উঠল, উহানের হুনান সি-ফুড বাজার থেকেই কোভিড-১৯-এর ভাইরাস ছড়িয়েছিল। চিন বারবার অস্বীকার করেছে এই অভিযোগ। তারা পাল্টা অভিযোগ তুলেছে আমেরিকার দিকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)-র প্রতিনিধি দলও ঘুরে গিয়েছে উহানে। তারা চিনকে ‘রেহাই’ দিলেও বিতর্ক মেটেনি। ফের দু’টি রিপোর্টে দাবি করা হল, চিনের উহানই কোভিডের উৎস।

Advertisement

একটি আমেরিকান সংবাদ সংস্থার খবর অনুযায়ী, ওই রিপোর্ট দু’টির প্রি-প্রিন্ট অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার আগে পিয়ার রিভিউ চলছে। দু’টি গবেষণাপত্রই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে, উহানের মাংসের বাজার করোনাভাইরাসের উপকেন্দ্র।

প্রথম গবেষণাটিতে চিনা বিজ্ঞানীরা ও জীববিশেষজ্ঞ মাইকেল ওরোবি এবং তাঁর অ্যারিজ়োনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সতীর্থরা সব তথ্য ঘেঁটে ম্যাপিং টুলের সাহায্যে পরীক্ষা করে দেখেছেন। তাঁদের হাতে থাকা যাবতীয় তথ্য বিশ্লেষণ করে দাবি করেছেন, ২০১৯ সালের শেষের দিকে উহানের বাজারে যে সব বন্যপ্রাণী জীবিত অবস্থায় বিক্রি হয়েছিল, তাদের শরীরে করোনাভাইরাস ছিল। তবে ঠিক কী ভাবে তা ছড়িয়েছিল, তা জানা যায়নি।

Advertisement

ওরোবি বলেন, ‘‘এটা থেকে একটা ইঙ্গিত স্পষ্ট ভাবেই পাওয়া যাচ্ছে, ওই বাজারে যাঁরা কাজ করতেন, তাঁদের শরীরে ভাইরাস সংক্রমিত হতে শুরু করেছিল। তার পর সেখান থেকে আশপাশের অঞ্চলে।’’ তিনি দাবি করেন, কোভিডের একেবারে গোড়ার দিকে যে সব তথ্য, তাতে কিন্তু স্পষ্ট ওই বাজারে যাঁরা প্রাণী বিক্রি করেছিলেন, আর যাঁরা কিনেছিলেন, তাঁদের মধ্যে প্রথম সংক্রমণ ঘটতে দেখা গিয়েছিল। গবেষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, ‘‘২০১৯ সালে ২০ ডিসেম্বরের আগে যে আটটি কোভিড সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, সব ক’টি বাজারের পশ্চিম দিকে ঘটেছিল। যেখানে স্তন্যপায়ী প্রাণীদের মাংস বিক্রি করা হত।’’

দ্বিতীয় গবেষণাপত্রটিত আণুবীক্ষনীক পর্যায়ে বিশ্লেষণা করা হয়েছে। তদন্ত করে দেখা হয়েছে, কখন প্রথম মানুষের শরীর থেকে প্রাণীদের দেহে ঝাঁপ দিয়েছে ভাইরাস। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২০ সালের মাঝ-ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সমস্ত জিনোম নমুনা পরীক্ষা করে দেখা হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, গোড়ার দিকের করোনাভাইরাসের দু’টি লিনিয়েজ ছিল। বিজ্ঞানীদের তাদের এ এবং বি নাম দিয়েছে। বিজ্ঞানীদের দাবি, অন্তত দু’টি ক্রস-স্পিসিস ট্রান্সমিশন, বা দু’বার প্রাণী থেকে মানবদেহে ভাইরাস সংক্রমণের ফলেই এই দু’টি লিনিয়েজ তৈরি হয়েছে। এই গবেষণায় দাবি করা হয়েছে, প্রথম প্রাণী থেকে মানুষ সংক্রমণ ঘটেছে ২০১৯-এর ১৮ নভেম্বর। তৈরি হয়েছে লিনিয়েজ বি। বিজ্ঞানীরা খুঁজে দেখেছেন, লিনিয়েজ বি-র মানুষেরা সরাসরি জড়িত ছিলেন ওই উহান বাজারের সঙ্গে। হয় তাঁরা বাজারের কাছাকাছি থাকতেন, নয়তো বাজারেই কাজ করতেন। গবেষণাপত্রে এ-ও বলা হয়েছে, ‘‘২০১৯ সালের নভেম্বরের আগে করোনা সংক্রমণ ব্যাপক ভাবে ঘটার কোনও সূত্রই মিলছে না। এটি প্রথম।’’ অতএব ফের কাঠগড়ায় চিন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন