এ বার বেজিংয়ের নজর আফ্রিকা এবং আর্জেন্টিনায়! ফাইল চিত্র।
বিশ্বে নিজেদের প্রভাবকে আরও বিস্তৃত করতে চাইছে চিন। সেই উদ্দেশেই এ বার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাইরেও সামরিক ঘাঁটি তৈরি করার প্রস্তুতি নিয়ে এগোচ্ছে বেজিং। সূত্রের খবর, আফ্রিকা মহাদেশের পশ্চিম উপকূলের দেশ ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বাটা বন্দরের পাশাপাশি আর্জেন্টিনার একটি প্রদেশও নজরে রয়েছে শি জিনপিং প্রশাসনের। এই দু’টি জায়গাতেই নৌসেনা ঘাঁটি তৈরি করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের।
আর্জেন্টিনার উসুইয়া ইন তিয়েরা প্রদেশকে রণকৌশলগত দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে চিন। সমুদ্র তীরবর্তী এই প্রদেশে স্থায়ী বন্দর তৈরি করা গেলে আন্টার্কটিকা যাওয়ার পথ যেমন খুলে যাবে, তেমনই অতলান্তিক এবং প্রশান্ত মহাসাগরের সংযোগস্থলেও আলাদা করে নজরদারি চালানো যাবে। ইতিমধ্যেই দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবান বন্দরে রণতরী ইউয়ান ওয়াং ৫-কে দাঁড় করিয়ে রেখেছে বেজিং। আর্থিক সঙ্কটে ভোগা কম্বোডিয়াতে ঋণ দেওয়ার বিনিময়ে রিম বন্দরকে নিজেদের দখলে নিয়েছে চিন। একই ভাবে শ্রীলঙ্কার হামবানতোতা বন্দর এবং ইরানের ছাবাহার বন্দরকেও বিশেষ নজরে রেখেছে চিন।
কিছু দিন আগেই আমেরিকা প্রভাবিত সৌদি আরব এবং সংযুক্ত আরব আমিরশাহির সঙ্গে ইরানকে আলোচনার টেবিলে বসিয়ে কার্যত অসাধ্যসাধন করেছে চিন। এই ঘটনার পরেই পশ্চিম এশিয়ায় নিজেদের কৌশলগত প্রভাব বাড়াতে সক্ষম হয়েছে চিন। এ বার বিশ্বের অন্যত্রও নিজেদের প্রভাব পড়তে চলেছে তারা। কিছু দিন আগে চিন সফরে এসে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাকরঁ, আমেরিকার প্রভাব থেকে স্বাধীন বিদেশনীতি নিয়ে চলার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। যা থেকে অনেকের অনুমান ইউরোপের ‘ঐক্যে’ও ফাটল ধরাতে সক্ষম হয়েছে চিন।