ইয়েমেন সঙ্কট

উদ্ধারে বরাদ্দ তিন ঘণ্টা

বোমাবর্ষণ করে ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দরের একাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সৌদি যুদ্ধবিমান। এই অবস্থায় ইয়েমেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের কী ভাবে সেখান থেকে উড়িয়ে আনা হবে, তা নিয়েই দেখা দিয়েছিল প্রশ্ন। কিন্তু বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়েছে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি ও সানা শেষ আপডেট: ৩০ মার্চ ২০১৫ ০৩:২৭
Share:

বোমাবর্ষণ করে ইয়েমেনের রাজধানী সানার বিমানবন্দরের একাংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছিল সৌদি যুদ্ধবিমান। এই অবস্থায় ইয়েমেনে আটকে পড়া ভারতীয়দের কী ভাবে সেখান থেকে উড়িয়ে আনা হবে, তা নিয়েই দেখা দিয়েছিল প্রশ্ন।

Advertisement

কিন্তু বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ জানিয়েছেন, বিমানবন্দরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ মেরামত করা হয়েছে। সেখান থেকে প্রতি দিন তিন ঘণ্টা করে উড়ানের অনুমতিও পেয়েছে ভারত। সেই বিমানে করেই ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনা হবে। ইয়েমেনের আকাশসীমার উপরে ‘নো ফ্লাই জোন’ জারি করেছে সৌদি আরব। তা তুলে নিতে উপসাগরীয় দেশগুলির সংগঠনের মাধ্যমে অনুরোধ জানাবে নয়াদিল্লি।

গতকালই অবশ্য এক বাণিজ্যিক বিমানে চেপে সানা থেকে জিবুতির দিকে রওনা দিয়েছিলেন ৮০ জন ভারতীয়। জিবুতির ভারতীয় দূতাবাস সেই যাত্রীদের দেশে ফেরানোর বন্দোবস্ত করবে বলে জানিয়েছে বিদেশ মন্ত্রক।

Advertisement

তবে এখনও যে ইয়েমেনে কর্মরত সব ভারতীয়ের কাছে পৌঁছতে পারেনি দূতাবাস, তার প্রমাণ মিলেছে আজ। সানায় আটকে পড়া কেরলের এক বাসিন্দা এক ভারতীয় চ্যানেলকে জানিয়েছেন, তাঁরা প্রায় ৬০ জন মিলে একটি ফ্ল্যাটে গত পাঁচ দিন ধরে বন্দি রয়েছেন। বেরোনোর উপায় নেই। সব সময়ই যুদ্ধবিমানের আনাগোনার শব্দ, বোমার আওয়াজ। খাবার ও জল যতটুকু রয়েছে, তা দিয়ে কোনও মতে দু’দিন চালানো যাবে বলে জানান জিডো নামের ওই ব্যক্তি। তাঁদের ফ্ল্যাটে এখনও পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ রয়েছে। কিন্তু যে কোনও মুহূর্তে তা চলে যেতে পারে। বাইরের দুনিয়ার সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগের এক মাত্র মাধ্যম এখন ইন্টারনেট। সেটা চলে গেলে তাঁদের যে কী হবে, ভেবেই কূল পাচ্ছেন না জিডো। তাঁর কাতর আর্জি, “কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ, দ্রুত আমাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করুন।”

পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝতে পেরে নিজেদের বাসিন্দাদের উদ্ধারের ব্যবস্থা করেছে পাকিস্তানও। এ দিন পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রক জানিয়েছে, ইয়েমেনে তাঁদের যাত্রীবিমান পাঠাতে ছাড়পত্র দিয়েছে সৌদি আরব। তার প্রথম ধাপ হিসেবে দু’টি ৭৪৭ জাম্বোজেট পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এখন প্রশ্ন, তা হলে কি ইয়েমেনের শিয়া হুথি সম্প্রদায়কে হারাতে সৌদি আরবের পাশে দাঁড়ানোর কথা ভাবছে পাকিস্তান? সম্প্রতি জানা গিয়েছিল, সৌদি আরবকে সমস্ত শক্তি দিয়ে সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে পাক প্রশাসন। আজ অবশ্য পাকিস্তান জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত সে রকম সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। তবে ইয়েমেনে যত দিন না শান্তি ফিরছে, তত দিন পর্যন্ত সৌদি আরব-সহ ১০টি দেশ যে হামলা চালিয়ে যাবে, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন