আমেরিকায় ইয়েমেনি মা

বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হতে নড়ে বসে মার্কিন বিদেশ দফতর। আমেরিকান-ইসলামিক কাউন্সিলের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত ভিসা পান শাইমা। ছেলে আবদুল্লাকে তিনি শেষ দেখেছিলেন গত ১ অক্টোবর।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সান ফ্রান্সিসকো শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:৩৩
Share:

শাইমা সুইলে।—ছবি এপি

অবশেষে ছেলের কাছে এসে পৌঁছলেন ইয়েমেনি মা। দু’বছরের ছোট্ট প্রাণটা আর বেশি দিন হয়তো প়ৃথিবীতে নেই। মস্তিষ্কের জটিল রোগের সঙ্গে আর লড়তে পারছে না সে। তবু শেষ বারের মতো একমাত্র ছেলের সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না মা, শাইমা সুইলে। ইয়েমেনের নাগরিক হওয়ায় ট্রাম্পের দেশে সফর-তালিকার নিষেধের জেরে ঢুকতে পারছিলেন না তিনি।

Advertisement

বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে হইচই হতে নড়ে বসে মার্কিন বিদেশ দফতর। আমেরিকান-ইসলামিক কাউন্সিলের উদ্যোগে শেষ পর্যন্ত ভিসা পান শাইমা। ছেলে আবদুল্লাকে তিনি শেষ দেখেছিলেন গত ১ অক্টোবর। তার পরেই তাঁর স্বামী আলি হাসান চিকিৎসার জন্য ছেলেকে নিয়ে চলে আসেন আমেরিকায়। কিন্তু স্ত্রী আসতে না পারায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছেও ভিসার জন্য অনুরোধ জানিয়েছিলেন আলি।

বুধবার রাতে সান ফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে নেমেছেন শাইমা। কালো চশমায় মুখ ঢেকে টার্মিনাল থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। অকল্যান্ডের শিশু হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আবুদল্লার মতো রোগ হলে ভেন্টিলেশনে দু-তিন সপ্তাহ, বা বড়জোড় এক মাস বাঁচার সম্ভাবনা। শাইমা তার মধ্যে এসে পৌঁছতে পারবেন কি না, তা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছিল। শেষ পর্যন্ত ভিসা মিলেছে। আলি জানিয়েছেন, আসার অনুমতি পাওয়ার পরে অঝোরে কাঁদছিলেন শাইমা। এর আগেও তিনি কেঁদেছেন ছেলের মুখটা আর দেখতে পাবেন না ভেবে। তবে ভিসা পাওয়ায় বেদনার সঙ্গে মিশে ছিল আনন্দের অশ্রুও।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন