এয়ার এশিয়া

উদ্ধার লেজের অংশ, ব্ল্যাক বক্স অধরা

নিখোঁজ হওয়ার দু’সপ্তাহের মাথায় এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর লেজের অংশ উদ্ধার করল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন। তবে ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান মিলেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, এখন বিমানের মূল অংশের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কারণ তাদের অনুমান, সেখানেই আটকে রয়েছে বেশিরভাগ যাত্রীর দেহ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

জাকার্তা শেষ আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৫ ০২:০৮
Share:

নিখোঁজ হওয়ার দু’সপ্তাহের মাথায় এয়ার এশিয়ার বিমান কিউজেড ৮৫০১-এর লেজের অংশ উদ্ধার করল ইন্দোনেশিয়া প্রশাসন। তবে ব্ল্যাক বক্সের সন্ধান মিলেছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। উদ্ধারকারী দল জানিয়েছে, এখন বিমানের মূল অংশের সন্ধান পাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে তারা। কারণ তাদের অনুমান, সেখানেই আটকে রয়েছে বেশিরভাগ যাত্রীর দেহ।

Advertisement

গত ২৮ ডিসেম্বর ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে জাভা সাগরে নিখোঁজ হয়ে যায় কিউজেড-৮৫০১। এয়ার ট্র্যাফিক কন্ট্রোল জানিয়েছিল, শেষ বার যখন পাইলটের সঙ্গে কথা হয় তখন তিনি বিমানের উচ্চতা বাড়ানোর অনুরোধ করেছিলেন। কিন্তু তাতে অনুমতি দিতে পারেনি এটিসি। তার পরই যোগাযোগ ছিন্ন হয়ে যায়। শুরু হয় তল্লাশি। গত বুধবার বিমানের লেজের অংশের খোঁজ মেলে। জানা যায়, কিউজেড ৮৫০১-এর শেষ অবস্থান যেখানে মিলেছিল, তার থেকে অন্তত ৩০ কিলোমিটার দূরের জাভা সাগরের তলায় কাদায় গেঁথে রয়েছে সেটি। এ দিন বেলুন ও ক্রেনের সাহায্যে ওই লেজের অংশটিকেই তুলেছে উদ্ধারকারী দল। পরে সেটিকে একটি জাহাজের সঙ্গে বেঁধে দেওয়া হয়। প্রশাসনের হিসেব মতো, ওই লেজের অংশ নিয়ে জাহাজটির ডাঙায় পৌঁছতে অন্তত ১৫ ঘণ্টা সময় লাগবে। তবে তার ছবি প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে, ১০ মিটার দীর্ঘ লাল রঙের ওই অংশে লেখা রয়েছে ‘এশিয়া’ শব্দটি।

তবে এখন প্রশ্ন, ব্ল্যাক বক্স কোথায়? এমনিতে বিমানের লেজের অংশেই ব্ল্যাক বক্স থাকে। কিন্তু যে উচ্চতা থেকে বিমানটি ভেঙে পড়েছিল, তার পর বিমানের দেহ থেকে ব্ল্যাক বক্স আলাদা হয়ে যেতে পারে, সে আশঙ্কা ছিলই। এ দিনের পর সে আশঙ্কাই জোরদার হয়েছে। উদ্ধারকারী দলের প্রধান সুপ্রিয়াদি জানিয়েছেন, লেজের অংশে সন্ধান চালিয়েও ব্ল্যাক বক্স মেলেনি। তবে আশার কথা এখনও জলের তলা থেকে ক্ষীণ শব্দ-সঙ্কেত ধরা পড়ছে। সুতরাং ব্ল্যাক বক্স পাশেই রয়েছে বলে মনে করছেন তাঁরা। কিন্তু তার অবস্থান জানতে শান্ত সমুদ্রের প্রয়োজন। বার বার জাহাজ চলাচলের ফলে যে শান্তি অনেকটাই বিঘ্নিত হচ্ছে বলে জানান সুপ্রিয়াদি।

Advertisement

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন