টুকরো খবর

ওঠার কথা ছিল এমএইচ-১৭ বিমানেই। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে ভাই অন্য বিমানে সস্তা টিকিট কাটার পরামর্শ দেয়। তাই এমএইচ-১৭-র টিকিট বাতিল করে নতুন করে টিকিট কাটে বোন। আর হাড়হিম করা সেই দুর্ঘটনার খবরটা পায় মাঝপথেই।

Advertisement
শেষ আপডেট: ২৩ জুলাই ২০১৪ ০২:৩৫
Share:

সস্তার টিকিটে নতুন জীবন
সংবাদ সংস্থা • মেলবোর্ন

Advertisement

ওঠার কথা ছিল এমএইচ-১৭ বিমানেই। কিন্তু একেবারে শেষ মুহূর্তে ভাই অন্য বিমানে সস্তা টিকিট কাটার পরামর্শ দেয়। তাই এমএইচ-১৭-র টিকিট বাতিল করে নতুন করে টিকিট কাটে বোন। আর হাড়হিম করা সেই দুর্ঘটনার খবরটা পায় মাঝপথেই। মোবাইলে মেসেজ আসে ভাইয়ের নাম্বার থেকে। তার পর চ্যানেলে-চ্যানেলে ব্রেকিং নিউজ। নিমেষে শেষ এমএইচ ১৭-র যাত্রী ও বিমানকর্মী সহ ২৯৮টি প্রাণ। ভাগ্যিস! যাবতীয় অনুভূতির প্রকাশ এই একটাই শব্দে। এখনও যেন কেমন একটা ঘোরের মধ্যে বছর কুড়ির তরুণী বেক ম্যাকডোনাল্ড। অস্ট্রেলিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ে মনস্তত্ত্বের ছাত্রী বেক। প্রায় মাস খানেক ইউরোপ বেড়িয়ে বৃহস্পতিবারই মেলবোর্নে ফেরার টিকিট কাটা ছিল বেকের। আমস্টারডাম থেকে কুয়ালা লামপুর। সেখান থেকে আবার অন্য বিমানে সোজা অস্ট্রেলিয়া। সব ঠিক ছিল। পেশায় ট্রাভেল এজেন্ট ভাইয়ের প্রস্তাবেই সস্তা টিকিটে অস্ট্রেলিয়া ফেরার সিদ্ধান্ত নেয় সে। বেঁচে ফেরে বেক। বেক জানায়, “বাড়ি ফিরে আসার আগে পর্যন্ত আমি কিছু বুঝতেই পারিনি। যখন দেখলাম ফিরে আসার পর সবাই আমায় জড়িয়ে ধরে কাঁদছে, সত্যি মনে হল নতুন জীবন ফিরে পেয়েছি।” বেকের বাবা রস ম্যাকডোনাল্ডও প্রথমে একই রকম আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন। গত মাসেই নিজের স্ত্রীকে হারিয়েছেন (বেকের সৎ মা) রস। মেয়ের বিশ্বাস, মৃতা মা-ই অলৌকিক ভাবে রক্ষা করেছেন তাকে। বাবা চাননি মেয়ে ইউরোপে যাক। সৎ মা-ই জোর করে মেয়েকে পাঠিয়েছিলেন। তাই তিনিই বাঁচালেন। একই মত বেকের ভাইয়েরও।

Advertisement

ধর্ম বদলের জঙ্গি-ফতোয়ার নিন্দা
সংবাদ সংস্থা • রাষ্ট্রপুঞ্জ

ফতোয়া জারি করে ইরাকের খ্রিস্টান এবং অন্য সংখ্যালঘুদের ধর্মান্তরিত হওয়ার জঙ্গি-নির্দেশের তীব্র নিন্দা করল রাষ্ট্রপুঞ্জ। ভবিষ্যতে এমন ঘটনা ঘটলে তা অপরাধ বলে গণ্য করা হবে বলেও কাল গভীর রাতের বৈঠকের পর জানিয়ে দিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। সম্প্রতি, ইরাক এবং সিরিয়ার খ্রিষ্টানদের ধর্ম পরিবর্তন না করলে মরতে হবে বলে ফতোয়া জারি করে জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসআইএল (ইসলামিক স্টেট অফ ইরাক অ্যান্ড লেভান্ত)। গত রবিবার ইরাকের মসুলের প্রায় প্রতিটি মসজিদেই ভিড় জমান সন্ত্রস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষজন। ওই দিন প্রায় পনেরো হাজার মানুষ নিজেদের ধর্ম বদল করেন। তার পর তাঁদের বেশিরাগই কুর্দিস্তানের শরণার্থী শিবিররে আশ্রয় নেন। এখন প্রায় খ্রিস্টান-শূন্য হয়ে গিয়েছে ইরাকের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মসুল। ওই শহর দখল করার পরে ফের একটি ফতোয়া জারি করেছিল আইএসআইএল। দ্বিতীয় ফতোয়াও সংখ্যালঘু খ্রিস্টানদের জন্য। সেখানে বিশেষ কর দেওয়ার নির্দেশও দেয় জঙ্গিরা। গতকাল রাতে ১৫ সদস্যকে নিয়ে ওই রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ সাফ জানিয়ে দিয়েছে, আইএসআইএল বা অন্য কোনও জঙ্গিগোষ্ঠীর এমন ফতোয়া মানবতা-বিরোধী। এই নিয়ে রাষ্ট্রপুঞ্জের পাশাপাশি সক্রিয় হতে হবে ইরাকের প্রশাসনকেও। মানবতার বিরুদ্ধে জঙ্গি হুমকি কোনও মতেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।

নিহতের ব্যাগ হাতড়ে বিতর্ক
সংবাদ সংস্থা • মেলবোর্ন

এম এইচ-১৭ বিপর্যয় ‘কভার’ করতে গিয়ে নিহতের ব্যাগ হাতড়ে বিতর্কে ফের এক সাংবাদিক। পর পর দু’ দিন একই ঘটনা। এ বার অভিযুক্ত মার্কিন সংবাদ মাধ্যমে কর্মরত অস্ট্রেলীয় সাংবাদিক ফিল উইলিয়ামস। আগের দিন ক্যামেরায় নিহত বিমানযাত্রীর ট্রলিব্যাগ ঘেঁটে খানিক পরেই নিজের ভুল বুঝতে পারেন সাংবাদিক কলিন ব্রেজার। সাংবাদিক হিসেবে নৈতিকতার সীমা লঙ্ঘন করায় ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি। লিখিত ভাবে ক্ষমা চান চ্যানেল কর্তৃপক্ষও। তবু সেই ঘটনারই পুনরাবৃত্তি ঘটালেন আর এক ‘উৎসাহী’ সাংবাদিক। ফিল উইলিয়ামস অবশ্য প্রাথমিক ভাবে ক্ষমা চাননি। পরে খানিক ভুল স্বীকার করলেও, একে কোনও ভাবেই ‘অপরাধ’ বলতে রাজি নন তিনি।

তালিবানি হানায় হত ৪
সংবাদ সংস্থা • কাবুল

ফের তালিবানি হামলায় কেঁপে উঠল কাবুল। মঙ্গলবার সকালে কাবুলের একটি পুলিশ আবাসনের গেটে মোটরবাইকে এসে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ ঘটায় এক জঙ্গি। পুলিশ জানিয়েছে, ওই ঘটনায় ৪ জন নিহত হয়েছেন। আহতের সংখ্যা ৬। একটি তালিবানি জঙ্গিগোষ্ঠীর দাবি, তারাই এ কাজ করেছে। এই বিস্ফোরণের আধ ঘণ্টার মধ্যেই কাবুলে আরও একটি বিস্ফোরণ হয়। তাতে নিহত হয়েছেন এক আফগান নাগরিক।

নিহত ৬ লাদেন-ঘনিষ্ঠ
সংবাদ সংস্থা • ইসলামাবাদ

পাকিস্তানের উত্তর ওয়াজিরিস্তান এলাকায় এ মাসেই ওসামা বিন লাদেনের ঘনিষ্ঠ ৬ জন জঙ্গি নেতাকে খতম করেছে মার্কিন ড্রোন। আল কায়দা নেতা সানাফি আল টুইটারে এই দাবি করেছে। ৩ জনের নামও লিখেছে সে। এরা হল, তাজ আল মাক্কি, আবু রহমান আল কুয়াতি এবং ফায়েজ আল খালিদি।

মঙ্গলবার একে পা দিয়েছে ব্রিটেনের রাজ সিংহাসনের তৃতীয় দাবিদার প্রিন্স জর্জ।
এ মাসের গোড়ায় বাবা-মায়ের সঙ্গে সে গিয়েছিল লন্ডনের একটি মিউজিয়ামে প্রজাপতির প্রদর্শনীতে।
সম্প্রতি প্রকাশিত হয়েছে সেই ছবি। ছবি: এএফপি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন