টর্নেডোর হানাদারি, আমেরিকায় মৃত ২৯

বছরের শুরুটা হয়েছিল প্রবল তুষারপাত আর বৃষ্টি দিয়ে। এ বার টর্নেডোর কবলে পূর্ব ও মধ্য আমেরিকার একটা বড় অংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আরকানস এবং ওকলাহোমা রাজ্য ও তার সংলগ্ন এলাকা। প্রবল ঝড়ের দাপটে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আহত প্রচুর। আবহাওয়া দফতর আবার এর মধ্যেই জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। টর্নেডো আছড়ে পড়তে পারে আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

ওয়াশিংটন শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৪ ০২:০২
Share:

ঝড়ের পর উপড়ে পড়েছে গাছ। মঙ্গলবার আলাবামা শহরে। ছবি: রয়টার্স

বছরের শুরুটা হয়েছিল প্রবল তুষারপাত আর বৃষ্টি দিয়ে। এ বার টর্নেডোর কবলে পূর্ব ও মধ্য আমেরিকার একটা বড় অংশ। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত আরকানস এবং ওকলাহোমা রাজ্য ও তার সংলগ্ন এলাকা। প্রবল ঝড়ের দাপটে ইতিমধ্যেই মৃত্যু হয়েছে ২৯ জনের। আহত প্রচুর। আবহাওয়া দফতর আবার এর মধ্যেই জানিয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টায় পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে। টর্নেডো আছড়ে পড়তে পারে আরও বেশ কয়েকটি রাজ্যে।

Advertisement

রবিবার সন্ধে সাতটা নাগাদ আরকানসর লিটল রকের প্রায় ১০ মাইল পশ্চিমে প্রথম টর্নেডোটি আছড়ে পড়ে। তার পর সেটি আরও বিধ্বংসী চেহারা নিয়ে আরও ৮০ মাইল পথ অতিক্রম করে।

স্থানীয় প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, টর্নেডোর গতিপথে পড়া প্রায় বেশ কয়েকটি শহর তছনছ হয়ে গিয়েছে। রাস্তায় রাস্তায় উপড়ে পড়েছে গাছ। রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা গাড়িগুলি দুমড়ে-মুচড়ে গিয়েছে। বিস্তীর্ণ এলাকা বিদ্যুৎহীন।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, শুধুমাত্র আরকানসেই মৃত্যু হয়েছে ১০ জনের। মিসিসিপিতে মারা গিয়েছেন আট জন। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত আরকানসর মেফ্লাওয়ার ও ভিলোনিয়া শহর। চার হাজার মানুষের বাস ভিলোনিয়ায়। শহরটাকে আর চেনা যাচ্ছে না।

ঝড়ের দাপটে এই দুই শহরেই প্রচুর বাড়ি ভেঙে পড়েছে। ফলে বহু মানুষ এখন আশ্রয়হীন। জোর কদমে চলছে উদ্ধারকাজ। তবে স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, ধ্বংসস্তূপ পুরোপুরি না সরানো পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা নিয়ে নিশ্চিত করে কিছুই বলা সম্ভব নয়। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা তাদের।

মিসিসিপির সেনেটর গাইলস ওয়ার্ডের দু’তলা বাড়ি ভেঙে পড়েছে ঝড়ে। ওয়ার্ডের কথায়, “মাত্র তিরিশ সেকেন্ডে সব হয়ে গেল। কীসের মধ্যে দিয়ে আমাদের যেতে হয়েছে ভাবা যায় না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন