তিনি লন্ডন থেকে বাণী দেন, শেখ মুজিবুর রহমান আসলে পাকিস্তানের সহযোগী রাজাকার ছিলেন। এমনকী বাংলাদেশের প্রথম রাষ্ট্রপতিও ছিলেন না। সেটা ছিলেন তাঁর বাবা জেনারেল জিয়াউর রহমান। তাঁর মা খালেদা জিয়ার প্রতিক্রিয়া, “সে নিশ্চয়ই উপযুক্ত তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতেই এ সব বলছে!”
এই তারেক রহমানের বক্তব্য আর বাংলাদেশের কোনও ধরনের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ না-করার নির্দেশ দিয়েছে ঢাকা হাইকোর্ট। এমনকী ফেসবুক-ট্যুইটারের মতো সামাজিক সাইটেও প্রচার করলে শাস্তি পেতে হবে। বিচারকের ব্যাখ্যা তারেক শেখ হাসিনাকে খুনের জন্য গ্রেনেড হামলার মামলায় প্রধান আসামি। গ্রেফতার এড়াতে বিদেশে বসে আছেন। সেখান থেকে অকথা-কুকথা বলে সমাজে অশান্তি ছড়াচ্ছেন। সেইসব বক্তব্য কোনও সংবাদমাধ্যম প্রচার করলে শাস্তি পাবে।
বস্তুত তারেকের এই বক্তব্য প্রচারিত হওয়া ও তাঁর মা বিএনপি-জামাত জোটের নেত্রী খালেদা জিয়া তাকে সমর্থন জানানোর পর থেকেই বাংলাদেশের রাজনীতি তেতে উঠেছে। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের সংগঠনগুলি খালেদার গাড়ি আটকে করার কমর্সূচি নেওয়ায় বিএনপি কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। খালেদা বাড়তি নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করায় তাঁকে পুলিশি পাহারা দিয়ে দফতরে অবরুদ্ধ করেছে সরকার। কিন্তু তারেকের বক্তব্যের পাশেই দাঁড়িয়েছেন খালেদা। তবে বিএনপি-র নেতারা বলছেন, তা হলে তো আল কায়দার বক্তব্যও খবরের কাগজে ছাপা যায় না। তারাও তো ফেরার অপরাধী!