তাঁর মুক্তি ঘিরে বিতর্ক ছিলই। তা আরও বাড়িয়ে দিল নয়া জল্পনা। তালিবানের হাতে বন্দি থাকা যে সেনার মুক্তির পরিবর্তে পাঁচ বন্দি তালিবান জঙ্গিকে ছেড়েছে মার্কিন প্রশাসন, এখন কেমন আছেন সেই বোয়ে বার্গদাল? স্পষ্ট উত্তর না মিললেও জল্পনা, তালিবানের পাঠানো ভিডিওতে যতটা রুগ্ণ দেখিয়েছিল বোয়েকে, আদতে তিনি মোটেও ততটা অসুস্থ নন। এখন প্রশ্ন, কী এমন হল যাতে কয়েক মাসের ব্যবধানে সুস্থ হয়ে উঠলেন বোয়ে?
জার্মানির যে হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা চলছে, সেখানকার ডাক্তাররা অবশ্য জানিয়েছেন, মোটেও সম্পূর্ণ সুস্থ নন বোয়ে। তাঁর ত্বকে এবং মাড়িতে ক্ষত রয়েছে। শরীরও বেশ দুর্বল। শুধু শারীরিক ভাবে নয়, মানসিক ভাবেও অসুস্থ বোয়ে। তিনি চিকিৎসককে জানিয়েছেন, পালানোর চেষ্টা করায় তালিবান তাঁকে বেশ কিছু দিনের জন্য অন্ধকার ঘরে আটকে রেখেছিল। সম্পূর্ণ ধাতব দেওয়ালের তৈরি সেই ঘরে আলো, বাতাস কিছুই ঢুকত না। এমনকী, শাস্তিস্বরূপ দীর্ঘদিন তাঁকে খেতেও দিত না তালিবান। সে ভয়াবহতা এখনও বোয়ের স্মৃতিতে স্পষ্ট। যত ক্ষণ না পর্যন্ত সেটা সামলে উঠছেন, তত ক্ষণ আমেরিকায় তাঁর পরিবারের কাছেও নিয়ে যাওয়া হবে না তাঁকে। কিন্তু ডাক্তাররা এ-ও জানিয়েছেন, তালিবানের পাঠানো ভিডিওতে যতটা অসুস্থ দেখিয়েছিল বোয়েকে, আদপে মোটেও ততটা অসুস্থ নন তিনি। তাঁদের ব্যাখ্যা, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনা ইতিবাচক হওয়ায় হয়তো শেষের ক’মাসে বোয়ের বাড়তি যত্ন নিয়েছিল তালিবান। তাতেই হয়তো এ পরিবর্তন।
নিন্দুকেরা অবশ্য এ ব্যাখ্যা মানছেন না। তাঁদের প্রশ্ন, তালিবান মোটেও অপহরণ করেনি বোয়েকে। বরং স্বেচ্ছায় মার্কিন সেনাবাহিনী ছেড়ে তালিবানের দিকে চলে গিয়েছিলেন তিনি। ফলে, তালিবানি অত্যাচারের কোনও প্রশ্নই ওঠে না।
এ সবে অবশ্য কান দিচ্ছেন না বোয়ের মা-বাবা। সম্প্রতি তাঁরা এফবিআইকে জানিয়েছেন, চারটি হুমকি মেল এসেছে তাঁদের কাছে। তদন্ত শুরুও হয়েছে। এখন শুধু অপেক্ষা ছেলের ঘরে ফিরে আসার।