বন্দুকবাজের দখলে ক্রিমিয়ার বিমানবন্দর

পার্লামেন্টের পরে বিমানবন্দর। ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়ার দু’-দু’টি বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে সেনার পোশাক পরা সশস্ত্র বাহিনী। গত কাল ক্রিমিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী সিমফেরোপোলের পার্লামেন্ট দখলে নিয়েছিল জনা পঞ্চাশেক বন্দুকধারী। আজ সকালে প্রথমে সিমফেরোপোলের বেলবেক বিমানবন্দর দখলে নেয় সশস্ত্র বাহিনী। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পরনে সেনার পোশাক।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০১৪ ০৮:১১
Share:

পার্লামেন্টের পরে বিমানবন্দর। ইউক্রেনের উপদ্বীপ ক্রিমিয়ার দু’-দু’টি বিমানবন্দর দখলে নিয়েছে সেনার পোশাক পরা সশস্ত্র বাহিনী। গত কাল ক্রিমিয়ার আঞ্চলিক রাজধানী সিমফেরোপোলের পার্লামেন্ট দখলে নিয়েছিল জনা পঞ্চাশেক বন্দুকধারী। আজ সকালে প্রথমে সিমফেরোপোলের বেলবেক বিমানবন্দর দখলে নেয় সশস্ত্র বাহিনী। তাদের হাতে আগ্নেয়াস্ত্র। পরনে সেনার পোশাক। পরে সেভাসতোপোল বন্দরের কাছে অন্য বিমানবন্দরটিও সশস্ত্র বাহিনীর হাতে চলে যায়।

Advertisement

কিয়েভের সদ্য গঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের বক্তব্য, রুশ সেনারাই সকাল থেকে দখল নিয়েছে ক্রিমিয়ার দু’টি বিমানবন্দরের। অন্তর্বর্তী সরকারের অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আরসেন আভাকভ নিজের ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, “ক্রিমিয়ার বিমানবন্দরে যা হচ্ছে, তা রুশ সেনা আগ্রাসন ছাড়া আর কিছু নয়।” তবে সরকারের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে মস্কো।

আজ সকাল থেকেই বেলবেক বিমানবন্দরে সেনা তৎপরতা চোখে পড়েছিল সাংবাদিকদের। এ বিষয়ে তাঁরা বন্দুকধারীদের জিজ্ঞাসা করলে সরাসরি কোনও উত্তর পাননি। এক জনই শুধু সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা ক্রিমিয়া সেনার অংশ। বিমানবন্দরের কাজ যাতে সুষ্ঠু ভাবে হয়, তা দেখভালের জন্যই তাঁরা এখানে এসেছেন। আভাকভের বক্তব্য, ক্রিমিয়ায় তাঁর যাওয়া আটকাতেই এমন ব্যবস্থা নিয়েছে রাশিয়া।

Advertisement

এই অবস্থায় আজ বিকেলেই প্রথম সাংবাদিক বৈঠক করলেন ইউক্রেনের গদিচ্যুত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচ। আপাতত দক্ষিণ রাশিয়ার রস্তভে রয়েছেন তিনি। তিনি যে সহজে হাল ছাড়বেন না, তা আজ ফের জানান। তাঁর বক্তব্য, “দেশের সুরক্ষিত ভবিষ্যতের জন্যই আমাকে লড়াই করে যেতে হবে।”

আরও এক বার ইউক্রেনের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি সব রকমের সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন গত কালই প্রধানমন্ত্রী আরসেনি ইয়াতসেনইউকের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন। ক্রিমিয়ায় রুশ সেনার উপস্থিতির বিষয়টি নিয়েও ওয়াশিংটন ওয়াকিবহাল। মার্কিন কূটনীতিক জন কেরির বক্তব্য, “রুশ বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে আমার এ বিষয়ে কথা হয়েছে। মস্কো জানিয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্বকে তারা সম্মান করে। বিদেশমন্ত্রী আরও জানিয়েছেন, ইউক্রেন সীমান্তে সাম্প্রতিক রুশ সেনা তৎপরতাও পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি মেনেই হচ্ছে।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement