পণবন্দিদের আয়ু আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। ইন্টারনেটে একটি অডিও বার্তা ছড়িয়ে সে কথা আরও এক বার জানিয়ে দিল পশ্চিম এশিয়ার জঙ্গি গোষ্ঠী আইএসআইএস।
জঙ্গিদের তরফে গত কালই জানিয়ে দেওয়া হয়, ২০০৫ সালে জর্ডনের রাজধানী আম্মানে আত্মঘাতী হামলার মূল চক্রী তথা প্রাক্তন আল কায়দা নেত্রী সাজিদা-আল-রিশওয়াইয়ের বিনিময়ে দুই পণবন্দিকে ছাড়তে রাজি আছে জঙ্গিরা। আইএস-এর হাতে পণবন্দি জাপানের সাংবাদিক কেনজি গোতোর গলায় রেকর্ড করা আজকের তিরিশ সেকেন্ডের বার্তায় জানানো হয়েছে, আজ সূর্যাস্তের আগে তুরস্কের সীমান্তে রিশওয়াইকে হাজির করানো না হলে মেরে ফেলা হবে জর্ডনের পাইলট মুয়াথ আল-কাসিসবকে।
জঙ্গিদের নামে ছড়িয়ে দেওয়া এই বার্তা আদৌ আসল কি না, তা নিয়ে সকাল থেকেই তদন্ত শুরু করেছে টোকিওর প্রশাসন। জঙ্গিদের দাবি মানা নিয়ে মতবিরোধ রয়েছে জাপানে। জঙ্গিদের দাবি মানা হবে কি না, তা নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার জর্ডন সরকারের উপর চাপাতে চাইছে টোকিও। আজই এ নিয়ে জবাব দিয়েছেন জর্ডনের সরকারি মুখপাত্র। তাঁর কথায়, “অপহৃত পাইলটের বিনিময়ে জঙ্গি নেত্রীর মুক্তির প্রস্তাবে রাজি জর্ডন।” কিন্তু কেনজি গোটোর মুক্তি নিয়ে জর্ডনের মনোভাব জানা যায়নি। বৃহস্পতিবার অনলাইনে জঙ্গিরা যে বার্তা প্রকাশ করে, তাতে অবশ্য শুধু কেনজির গলাই শোনা গিয়েছে। গোয়েন্দাদের অনুমান, খুব তাড়াহুড়ো করে ওই অডিওটি রেকর্ড করা হয়েছে। সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার প্রশ্নে জঙ্গিদের কী উদ্দেশ্য রয়েছে তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেনজির প্রাণভিক্ষা চেয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে ইতিমধ্যেই আর্জি জানিয়েছেন তাঁর মা। জর্ডন সরকারের কাছে একই আর্জি জানান মুয়াথ আল-কাসিসবের বাবা-ও। মুয়াথের মুক্তির দাবিতে গত কাল থেকেই আম্মানের বিভিন্ন এলাকায় চলছে প্রতিবাদ। জঙ্গিদের শর্তে আম্মান মুখ খুললেও টোকিও কী পদক্ষেপ করবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা এখনও বহাল।