কেয়ার্ন্স

যা করেছি ক্ষমা কোরো, আট খুদের খুনে ধৃত মা

উত্তর কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্ন্সে আট শিশু ও কিশোরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে তাদের মাকেই গ্রেফতার করল কুইন্সল্যান্ড পুলিশ। পুলিশ সূত্রের খবর, আট শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোয়েন্দা অফিসার অ্যাসনিকার জানান, নিহতদের মধ্যে তিন নাবালিকার বয়স ১১ থেকে ১৪-র মধ্যে। আর চার নাবালকের বয়স ৫ থেকে ৯-এর মধ্যে। এদের মধ্যে রয়েছে ১৮ মাসের এক শিশুকন্যাও।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মেলবোর্ন শেষ আপডেট: ২১ ডিসেম্বর ২০১৪ ০৩:২৭
Share:

উত্তর কুইন্সল্যান্ডের কেয়ার্ন্সে আট শিশু ও কিশোরকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগে তাদের মাকেই গ্রেফতার করল কুইন্সল্যান্ড পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, আট শিশুকে হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহেই ওই মহিলাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। গোয়েন্দা অফিসার অ্যাসনিকার জানান, নিহতদের মধ্যে তিন নাবালিকার বয়স ১১ থেকে ১৪-র মধ্যে। আর চার নাবালকের বয়স ৫ থেকে ৯-এর মধ্যে। এদের মধ্যে রয়েছে ১৮ মাসের এক শিশুকন্যাও। সম্ভবত ওই শিশুদের খুন করেই মহিলা ছুরি দিয়ে নিজেকে আঘাত করেছেন। খুনে ব্যবহৃত ছুরি-সহ অন্যান্য অস্ত্র বাড়ির মধ্যেই দেহগুলির পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে পুলিশ অফিসারেরা এত তাড়াতাড়ি মৃত্যুর কারণ জানাতে চাননি। এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে ফরেন্সিক দল।

এতগুলি শিশুর মৃত্যু ও পাড়ায় ভাল বলে পরিচিত ওই মহিলার গ্রেফতারির পর স্তম্ভিত গোটা পাড়া। কোনও দিন কোনও চিৎকার চেঁচামেচি শোনা যায়নি ওই বাড়ি থেকে। তা হলে হঠাৎ কী এমন হল যে ওই মহিলা নিজের সন্তানদের খুন করতে বাধ্য হলেন এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে পড়শিদের মনে। তবে পড়শিদের এক জন জানান, বৃহস্পতিবার রাতে তিনি ওই মহিলাকে খুব চিৎকার করতে শুনেছিলেন। সে দিন ওই মহিলাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “আমাদের থেকে ওদের কেড়ে নিও না। আমি যা করছি, তার জন্য আমায় ক্ষমা কোরো। ঈশ্বর আমাদের মঙ্গল করুন।” মহিলার কথা শুনেও কিছু আঁচ করতে পারেননি তাঁরা। তবে বুঝেছিলেন ওই রাতে খুবই অবসাদগ্রস্ত ছিলেন তিনি। আর এক প্রতিবেশী বলেন, “শুক্রবার ভোর চারটে নাগাদও ওই বাড়ি থেকে চিৎকার কানে এসেছিল। মনে হয়েছিল, মহিলা কারওর সঙ্গে তুমুল ঝগড়া করছেন। তবে তাঁকে শেষ বারের মতো ভোর ছ’টার সময় দেখা গিয়েছিল। তার পর শান্ত হয়ে যায় বাড়ির পরিবেশ।” পড়শিরা আরও জানান, ওই মহিলা সে দিন ঘরের সব জিনিসপত্র বাড়ির বাইরে ফেলে দিচ্ছিলেন। সে সময় তিনি বলেছিলেন, “আমি আমার জীবন বদলে ফেলব। কারণ আমি ভাল নেই। তবে নিজের সন্তানদের খুব ভালবাসি।”

Advertisement

গত কাল কেয়ার্ন্সের মনুরা শহরতলিতে মুরে স্ট্রিট এলাকার একটি বাড়ির ভিতর ওই মহিলাকে গুরুতর জখম অবস্থায় পাওয়া যায়। পুলিশ তল্লাশি চালাতে গিয়েই ওই পরিবারের আট খুদে সদস্যের ক্ষতবিক্ষত দেহ পায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না মহিলার বড় ছেলে। তিনিই বাড়ি ফিরে ওই বীভৎস দৃশ্য দেখেন। মৃতদের মধ্যে সাত জন আহত মহিলার সন্তান এবং বাকি এক জন মহিলার আত্মীয় বলে জানিয়েছেন ওই বছর কুড়ির যুবক।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন