গুলি করে রুশ যুদ্ধবিমান নামানোর ঘটনায় রাশিয়ার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না, স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইপ এরদোগান। বললেন, ‘‘আমাদের আকাশসীমায় ঢুকলে তো তার মাসুল দিতেই হবে। তুরস্কের বায়ুসেনা তার কর্তব্য পালন করেছে মাত্র।’’
রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের দফতর যদিও জানিয়েছে, ক্ষমা চেয়ে অথবা দোষীদের শাস্তি দেওয়ার আশ্বাস পেলে আলোচনার পথে গিয়ে বিবাদ মিটিয়ে নেওয়ার কথা ভাবতে পারে রাশিয়া। কূটনৈতিক মহলের ধারণা, পাল্টা হানা নয়, আলোচনার মাধ্যমেই হয়তো দ্বন্দ্ব মিটিয়ে ফেলতে চাইছেন পুতিন। কারণ, সম্প্রতি আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ লড়াইয়ের জন্য রাশিয়াকে পাশে চেয়েছে আমেরিকা। আর সেই আমন্ত্রণে পুতিনের জবাব ইতিবাচক। কিন্তু মঙ্গলবার রুশ যুদ্ধবিমান ধ্বংসের ঘটনায় আমেরিকার নেতৃত্বাধীন ন্যাটো জোটের সমস্ত দেশই কার্যত তুরস্কের পাশে। এই অবস্থায় পরিস্থিতি আরও জটিল, বিবাদ মেটার সম্ভাবনা আরওই ক্ষীণ।
প্যারিসে সাম্প্রতিক ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পর বিশ্বজুড়ে ইসলামিক স্টেট (আইএস) বিরোধী জোট গড়ে তোলার চেষ্টা করছেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদ। আজ সন্ধেয় ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠক করেন ওলাঁদ। সন্ত্রাসবিরোধী লড়াইয়ে রাশিয়া ও ফ্রান্স একজোট হবে কি না তা অনেকটাই নির্ভর করছে আজকের বৈঠকে।
গত কাল ধ্বংস হওয়া যুদ্ধবিমান থেকে উদ্ধার হওয়ার পর পাইলট ক্যাপ্টেন কনস্তানতিন মুরাখতিন জানিয়েছেন, সতর্কতা ছাড়াই গুলি করা হয় বিমানে। নিহত হন তাঁর সহ-পাইলট। তুরস্ক অবশ্য আজ একটি অডিও বার্তা প্রকাশ করেছে, যেখানে তুরস্কের আকাশসীমায় ঢুকে পড়ার কথা বলে সতর্ক করা হয়েছিল রুশ যুদ্ধবিমানটিকে। কূটনৈতিক চাপ বাড়াতে রাশিয়ার বাজারে বয়কট করা হয়েছে তুরস্কের সমস্ত পণ্য। কারণ না দেখিয়েই সীমান্তে আটকানো হচ্ছে তুরস্কের পণ্যবাহী ট্রাক। পুতিন জানিয়েছেন, তুরস্কের পণ্য কেনা মানে, ওদের অস্ত্র কেনার অর্থ জোগানো। যা শেষে রাশিয়ারই ক্ষতি করবে।