হাসপাতালে আগুন, দম আটকে মৃত ২০ বৃদ্ধ-বৃদ্ধা

হাসপাতালের একটা অংশে শুধু বয়স্ক রোগীরা থাকতেন। আর সেখানেই আগুন লেগে মৃত্যু হল ২০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। কয়েক বছর আগে কলকাতায় যেমন ভাবে মৃত্যু হয়েছিল আমরি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

সোল শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৪ ০২:০৪
Share:

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রেফতার করা হয়েছে এই ব্যক্তিকেই। ছবি: রয়টার্স।

হাসপাতালের একটা অংশে শুধু বয়স্ক রোগীরা থাকতেন। আর সেখানেই আগুন লেগে মৃত্যু হল ২০ জন বৃদ্ধ-বৃদ্ধার। তবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে নয়। বিষাক্ত ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে। কয়েক বছর আগে কলকাতায় যেমন ভাবে মৃত্যু হয়েছিল আমরি হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের। তবে এই ঘটনা কলকাতা বা ভারতের নয়। সুদূর দক্ষিণ কোরিয়ার জাংসিওং জেলার ঘটনা। মৃত্যু হয়েছে এক নার্সেরও। আহত ৭।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, হায়োসারাং হাসপাতালের একটি বিল্ডিংয়ের তিন তলায় আজ ভোর রাতে আগুন লাগে। মূলত ডিমেনশিয়া এবং সেরিব্রাল পালসি রোগীদের সেখানে রাখার ব্যবস্থা ছিল। যাঁরা ভর্তি ছিলেন, তাঁদের প্রত্যেকেরই বয়স আশির উপরে। কারও সাহায্য ছাড়া হাঁটা তো দূরের কথা, বিছানা ছেড়ে উঠতেই পারেন না বেশির ভাগ রোগী। ফলে আগুন লাগার পরে ধোঁয়ার জেরে দমবদ্ধ হয়েই মারা যান ২০ জন।

কী ভাবে হাসপাতালে আগুন লাগল, তা নিয়ে মুখ খুলতে চায়নি পুলিশ। তবে গোটা ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ওই হাসপাতালেরই এক বয়স্ক রোগীকে আটক করেছে পুলিশ। আটক ব্যক্তির নাম-পরিচয় সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। তবে তিনি যে এক জন ডিমেনশিয়ার রোগী এবং ওই হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন, তা হাসপাতাল সূত্রেই জানা গিয়েছে। তাঁর বয়স আশির কাছাকাছি। অগ্নিকাণ্ডের তদন্তে নেমে ওই বৃদ্ধকে কেন আটক করা হল, সে প্রশ্নের জবাব পুলিশ দেয়নি। তবে একটি সূত্রের খবর, হাসপাতালের যে অংশ থেকে আগুন লেগেছিল, সিসিটিভি ফুটেজে ওই বৃদ্ধকে সেখানে ঘোরাঘুরি করতে দেখা গিয়েছে। সম্ভবত সেই জন্যই তাঁকে আটক করা হয়েছে।

Advertisement

অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে আসেন দমকলের ২৭০ জন কর্মী। ছ’মিনিটের মধ্যে আগুন আয়ত্তেও আনেন তাঁরা। এক দমকল কর্মী জানান, তিন তলায় ৩৪ জন রোগী ছিলেন। দমকল পৌঁছনোর আগেই মৃত্যু হয় তাঁদের মধ্যে ২০ জনের। তাঁর কথায়, “মৃত রোগীদের বেশির ভাগ বিছানাতেই মারা যান। দু’-এক জনকে খাট থেকে নামতে পারলেও শেষমেশ দরজা পর্যন্ত পৌঁছতে পারেননি।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন