Advertisement
Durga Puja 2020

রুকুর ‘আফ্রিকার রাজা’ থেকে বেলাশেষের সিঁদুর খেলা, সেলুলয়েডে শারদ গন্ধ

প্রেক্ষাপটে শারদোৎসব, এ রকম কিছু বাংলা ছবির কথা তুলে ধরা হল এখানে।

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ১০ অক্টোবর ২০২০ ০৯:৩০
Share: Save:
০১ ২০
বার বার বাংলা ছবিতে ধরা দিয়েছে দুর্গা পুজোর আবহ। পুজো ঘিরেই তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য। প্রেক্ষাপটে শারদোৎসব, এ রকম কিছু বাংলা ছবির কথা তুলে ধরা হল এখানে।

বার বার বাংলা ছবিতে ধরা দিয়েছে দুর্গা পুজোর আবহ। পুজো ঘিরেই তৈরি হয়েছে চিত্রনাট্য। প্রেক্ষাপটে শারদোৎসব, এ রকম কিছু বাংলা ছবির কথা তুলে ধরা হল এখানে।

০২ ২০
জয়বাবা ফেলুনাথ: ‘সোনারকেল্লার’ পরে ‘ফেলুদা’ সিরিজের দ্বিতীয় ছবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় সন্তোষ দত্তের জমাটি ত্রয়ীর পাশাপাশি যোগ্য সঙ্গত মগনলাল মেঘরাজের ভূমিকায় উৎপল দত্তের।

জয়বাবা ফেলুনাথ: ‘সোনারকেল্লার’ পরে ‘ফেলুদা’ সিরিজের দ্বিতীয় ছবি। সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়-সিদ্ধার্থ চট্টোপাধ্যায় সন্তোষ দত্তের জমাটি ত্রয়ীর পাশাপাশি যোগ্য সঙ্গত মগনলাল মেঘরাজের ভূমিকায় উৎপল দত্তের।

০৩ ২০
‘ফেলুদা’ সিরিজের এই ছবির প্রেক্ষাপটে কাশীর বনেদি ঘোষালবাড়ি। পরিবারের সম্পদ বহু মূল্যবান সোনার গণেশ মূর্তি হাতাতে চায় লোভী ব্যবসায়ী মগনলাল মেঘরাজ।  সেই মূর্তিকে বাঁচাতে তা দুর্গার বাহন সিংহের মুখে লুকিয়ে রেখেছিল বাড়ির কনিষ্ঠতম সদস্য রুকু। সেখান থেকেও সেটি চুরি যায়। মূর্তি উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ে গোয়েন্দা ‘ফেলুদা’ উপর।  সেই রহস্যের সমাধান নিয়েই এই ছবি।

‘ফেলুদা’ সিরিজের এই ছবির প্রেক্ষাপটে কাশীর বনেদি ঘোষালবাড়ি। পরিবারের সম্পদ বহু মূল্যবান সোনার গণেশ মূর্তি হাতাতে চায় লোভী ব্যবসায়ী মগনলাল মেঘরাজ।  সেই মূর্তিকে বাঁচাতে তা দুর্গার বাহন সিংহের মুখে লুকিয়ে রেখেছিল বাড়ির কনিষ্ঠতম সদস্য রুকু। সেখান থেকেও সেটি চুরি যায়। মূর্তি উদ্ধারের দায়িত্ব পড়ে গোয়েন্দা ‘ফেলুদা’ উপর।  সেই রহস্যের সমাধান নিয়েই এই ছবি।

০৪ ২০
দেবী: সত্যজিৎ রায়ের এ ছবি মুক্তি পায় ১৯৬০ সালে। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছোটগল্প‘দেবী’ অবলম্বনে তৈরি এ ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (দয়াময়ী) এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (উমাপ্রসাদ)। ছিলেন করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় (হরসুন্দরী), ছবি বিশ্বাস (কালীকিঙ্কর রায়), অনিল চট্টোপাধ্যায়ের (ভূদেব) মতো বলিষ্ঠ অভিনেতারাও।

দেবী: সত্যজিৎ রায়ের এ ছবি মুক্তি পায় ১৯৬০ সালে। প্রভাতকুমার মুখোপাধ্যায়ের ছোটগল্প‘দেবী’ অবলম্বনে তৈরি এ ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন শর্মিলা ঠাকুর (দয়াময়ী) এবং সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (উমাপ্রসাদ)। ছিলেন করুণা বন্দ্যোপাধ্যায় (হরসুন্দরী), ছবি বিশ্বাস (কালীকিঙ্কর রায়), অনিল চট্টোপাধ্যায়ের (ভূদেব) মতো বলিষ্ঠ অভিনেতারাও।

০৫ ২০
দয়াময়ী তাঁর স্বামী উমাপ্রসাদের গ্রামের বাড়িতে ভাসুর-জা এবং বৃদ্ধ শ্বশুরের সঙ্গে থাকেন। উমাপ্রসাদ পড়াশোনার জন্য কলকাতায় চলে যান। উমা শ্বশুরের দেখাশোনার জন্য থেকে যান গ্রামের বাড়িতেই। এর পরে কীভাবে তিনি দয়াময়ী দেবী রূপে পূজিত হতে শুরু করলেন, ছবিতে তারই গল্প।

দয়াময়ী তাঁর স্বামী উমাপ্রসাদের গ্রামের বাড়িতে ভাসুর-জা এবং বৃদ্ধ শ্বশুরের সঙ্গে থাকেন। উমাপ্রসাদ পড়াশোনার জন্য কলকাতায় চলে যান। উমা শ্বশুরের দেখাশোনার জন্য থেকে যান গ্রামের বাড়িতেই। এর পরে কীভাবে তিনি দয়াময়ী দেবী রূপে পূজিত হতে শুরু করলেন, ছবিতে তারই গল্প।

০৬ ২০
হীরেরআংটি: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘হীরেরআংটি’ গল্পঅবলম্বনে, ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। বসন্ত চৌধুরী, মুনমুন সেন, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছিলেন মূল কুশীলব। ছবির প্রেক্ষাপট জুড়ে দুর্গাপুজো।

হীরেরআংটি: শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের ‘হীরেরআংটি’ গল্পঅবলম্বনে, ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ১৯৯২ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। বসন্ত চৌধুরী, মুনমুন সেন, অয়ন বন্দ্যোপাধ্যায়রা ছিলেন মূল কুশীলব। ছবির প্রেক্ষাপট জুড়ে দুর্গাপুজো।

০৭ ২০
এক দুর্গাপুজোয় রতনলালবাবুর বাড়ি উপস্থিত হয় গন্ধর্বকুমার। নিজকে সে রতনলালের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বলে দাবি করে। সম্পত্তির মধ্যে একটি মহামূল্যবান হীরের আংটিও ছিল। পরে জানা যায়, সে আদপে গন্ধর্ব কুমারই নয়। তার আসার আসল উদ্দেশ্য ছিল ওই আংটি চুরি করা। পরে সে কি আদৌ আংটি চুরি করে? সেই গল্পই বলা হয়েছে এই ছবিতে।

এক দুর্গাপুজোয় রতনলালবাবুর বাড়ি উপস্থিত হয় গন্ধর্বকুমার। নিজকে সে রতনলালের পৈতৃক সম্পত্তির উত্তরাধিকারী বলে দাবি করে। সম্পত্তির মধ্যে একটি মহামূল্যবান হীরের আংটিও ছিল। পরে জানা যায়, সে আদপে গন্ধর্ব কুমারই নয়। তার আসার আসল উদ্দেশ্য ছিল ওই আংটি চুরি করা। পরে সে কি আদৌ আংটি চুরি করে? সেই গল্পই বলা হয়েছে এই ছবিতে।

০৮ ২০
উৎসব: ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিতেও দুর্গা পুজো চিত্রনাট্যের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে। ২০০০ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় আছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মমতা শঙ্কর, মাধবী মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দীপঙ্কর দে।  দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের সম্পর্কের টানাপড়েন এই ছবির উপজীব্য।

উৎসব: ঋতুপর্ণ ঘোষের এই ছবিতেও দুর্গা পুজো চিত্রনাট্যের সিংহভাগ জুড়ে রয়েছে। ২০০০ সালে মুক্তি প্রাপ্ত এই ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় আছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, মমতা শঙ্কর, মাধবী মুখোপাধ্যায়, প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় এবং দীপঙ্কর দে।  দুর্গাপুজোকে কেন্দ্র করে একটি পরিবারের সম্পর্কের টানাপড়েন এই ছবির উপজীব্য।

০৯ ২০
অন্তরমহল: বিখ্যাত লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘প্রতিমা’ অবলম্বনে,ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ২০০৫ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (মহামায়া), সোহা আলি খান (যশোমতী), জ্যাকি শ্রফ (ভুবনেশ্বর চৌধুরী) এবং অভিষেক বচ্চনকে।

অন্তরমহল: বিখ্যাত লেখক তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছোটগল্প ‘প্রতিমা’ অবলম্বনে,ঋতুপর্ণ ঘোষের পরিচালনায় ২০০৫ সালে মুক্তি পায় এই ছবি। প্রধান ভূমিকায় দেখা গিয়েছে রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (মহামায়া), সোহা আলি খান (যশোমতী), জ্যাকি শ্রফ (ভুবনেশ্বর চৌধুরী) এবং অভিষেক বচ্চনকে।

১০ ২০
ব্রিটিশদের তুষ্ট করতে ভুবনেশ্বর চৌধুরী পরিকল্পনা করেন দেবী দুর্গার মুখের আদল গড়া হবে রানি ভিক্টোরিয়ার মুখের ধাঁচে। শিল্পী আসে। এদিকে বংশের উত্তরাধিকারী দিতে ব্যর্থ প্রথমা স্ত্রী মহামায়া। তাই ভুবনেশ্বর বিয়ে করেন যশোমতীকে। চিরকালীন সংস্কারের আবহে এই ছবিরও মূল বিষয় সম্পর্কের টানাপড়েন ও দ্বন্দ্ব।

ব্রিটিশদের তুষ্ট করতে ভুবনেশ্বর চৌধুরী পরিকল্পনা করেন দেবী দুর্গার মুখের আদল গড়া হবে রানি ভিক্টোরিয়ার মুখের ধাঁচে। শিল্পী আসে। এদিকে বংশের উত্তরাধিকারী দিতে ব্যর্থ প্রথমা স্ত্রী মহামায়া। তাই ভুবনেশ্বর বিয়ে করেন যশোমতীকে। চিরকালীন সংস্কারের আবহে এই ছবিরও মূল বিষয় সম্পর্কের টানাপড়েন ও দ্বন্দ্ব।

১১ ২০
বিসর্জন: ২০১৭-এ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘বিসর্জন’। ছবির মুখ্যচরিত্র পদ্মা ও নাসিরের ভূমিকায় জয়া আহসন এবং আবির চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে গণেশ মণ্ডলের চরিত্রে স্বয়ং পরিচালক। ২০১৯-এ এই ছবির সিকুয়েল ‘বিজয়া’ মুক্তিপায়। দু’টি ছবিতেই দুর্গা পুজো শুধু উৎসব নয়, বরং ছবির অন্যতম চরিত্র।

বিসর্জন: ২০১৭-এ কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায়ের পরিচালনায় মুক্তি পায় ‘বিসর্জন’। ছবির মুখ্যচরিত্র পদ্মা ও নাসিরের ভূমিকায় জয়া আহসন এবং আবির চট্টোপাধ্যায়। সঙ্গে গণেশ মণ্ডলের চরিত্রে স্বয়ং পরিচালক। ২০১৯-এ এই ছবির সিকুয়েল ‘বিজয়া’ মুক্তিপায়। দু’টি ছবিতেই দুর্গা পুজো শুধু উৎসব নয়, বরং ছবির অন্যতম চরিত্র।

১২ ২০
বেলাশেষে: পরিচালক জুটি নন্দিনী রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এ ছবি। মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়(বিশ্বনাথমজুমদার) এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে (আরতি)। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, মনামি ঘোষ, খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

বেলাশেষে: পরিচালক জুটি নন্দিনী রায় এবং শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০১৫ সালে মুক্তি পায় এ ছবি। মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়(বিশ্বনাথমজুমদার) এবং স্বাতীলেখা সেনগুপ্তকে (আরতি)। এছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে রয়েছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, অপরাজিতা আঢ্য, মনামি ঘোষ, খরাজ মুখোপাধ্যায় প্রমুখ।

১৩ ২০
এক দুর্গাপুজোয় বিশ্বনাথ মজুমদার তাঁর পরিবারের সকলকে বাড়িতে একত্রিত হতে বলেন কিছু কথা জানানোর উদ্দেশ্যে। তারা এলে তিনি জানান ৪৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চান। স্ত্রী আরতিরও তাতে দ্বিমত নেই।  আইনি ব্যবস্থাও নিয়েছেন তিনি। আদালত তাদের ১৫ দিন সময় দেয় একসঙ্গে কাটানোর জন্য। এরপরে কি আদৌ দাঁড়ি পড়ে ছিল দাম্পত্য জীবনে? সেটাই ছবির প্রেক্ষাপট।

এক দুর্গাপুজোয় বিশ্বনাথ মজুমদার তাঁর পরিবারের সকলকে বাড়িতে একত্রিত হতে বলেন কিছু কথা জানানোর উদ্দেশ্যে। তারা এলে তিনি জানান ৪৯ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানতে চান। স্ত্রী আরতিরও তাতে দ্বিমত নেই। আইনি ব্যবস্থাও নিয়েছেন তিনি। আদালত তাদের ১৫ দিন সময় দেয় একসঙ্গে কাটানোর জন্য। এরপরে কি আদৌ দাঁড়ি পড়ে ছিল দাম্পত্য জীবনে? সেটাই ছবির প্রেক্ষাপট।

১৪ ২০
উমা: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০১৮-য় মুক্তি পায় ‘উমা’। ছবিতে মুখ্য চরিত্র হিমাদ্রি সেন এবং উমা’র ভুমিকায় দেখা গেছে যিশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর কন্যা সারা সেনগুপ্তকে। বিশেষ ভূমিকায় রয়েছেন অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিটির সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট জুড়ে রয়েছে দুর্গাপুজো।

উমা: সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ২০১৮-য় মুক্তি পায় ‘উমা’। ছবিতে মুখ্য চরিত্র হিমাদ্রি সেন এবং উমা’র ভুমিকায় দেখা গেছে যিশু সেনগুপ্ত এবং তাঁর কন্যা সারা সেনগুপ্তকে। বিশেষ ভূমিকায় রয়েছেন অঞ্জন দত্ত, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। ছবিটির সম্পূর্ণ প্রেক্ষাপট জুড়ে রয়েছে দুর্গাপুজো।

১৫ ২০
প্রবাসী বাঙালি হিমাদ্রি তাঁর মেয়ে উমাকে নিয়ে থাকেন সুইৎজারল্যান্ড। উমা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ, ডাক্তার জানিয়েছে উমার মৃত্যু আসন্ন। ছোট্ট মেয়েটির স্বপ্ন ছিল, সে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখবে। এ দিকে পুজো আসতে অনেক দেরি। মেয়ের শেষ ইচ্ছেপূরণে শারদোৎসবের অকাল বোধন করানোর লড়াই নিয়েই এই ছবি।

প্রবাসী বাঙালি হিমাদ্রি তাঁর মেয়ে উমাকে নিয়ে থাকেন সুইৎজারল্যান্ড। উমা বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ, ডাক্তার জানিয়েছে উমার মৃত্যু আসন্ন। ছোট্ট মেয়েটির স্বপ্ন ছিল, সে কলকাতার দুর্গাপুজো দেখবে। এ দিকে পুজো আসতে অনেক দেরি। মেয়ের শেষ ইচ্ছেপূরণে শারদোৎসবের অকাল বোধন করানোর লড়াই নিয়েই এই ছবি।

১৬ ২০
অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি: সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি। ছবিতে অ্যান্টনি কবিয়ালের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মহানায়ক উত্তম কুমারকে। নায়িকা ছিলেন তনুজা।

অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি: সুনীল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরিচালনায় ১৯৬৭ সালে মুক্তি পায় অ্যান্টনি ফিরিঙ্গি। ছবিতে অ্যান্টনি কবিয়ালের চরিত্রে দেখা গিয়েছিল মহানায়ক উত্তম কুমারকে। নায়িকা ছিলেন তনুজা।

১৭ ২০
১৯ শতকে হেন্সম্যান অ্যান্টনি নামের এক পর্তুগিজ সাহেব বাংলা কবি গানের চর্চা শুরু করেন। তাঁর দক্ষতা সমকালীন অনেক গুণী কবিয়ালদের পিছনে ফেলে দিয়েছিল। ফলে এই সাহেব অনেকেরই চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। ওই পরিস্থিতিতেও তিনি কবিগানের চর্চা বন্ধ করেননি। কবিগানের প্রতি তাঁর ভালবাসা এই ছবির মূল বিষয়। এ ছবিতেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর উল্লেখ আছে।

১৯ শতকে হেন্সম্যান অ্যান্টনি নামের এক পর্তুগিজ সাহেব বাংলা কবি গানের চর্চা শুরু করেন। তাঁর দক্ষতা সমকালীন অনেক গুণী কবিয়ালদের পিছনে ফেলে দিয়েছিল। ফলে এই সাহেব অনেকেরই চক্ষুশূল হয়ে ওঠেন। ওই পরিস্থিতিতেও তিনি কবিগানের চর্চা বন্ধ করেননি। কবিগানের প্রতি তাঁর ভালবাসা এই ছবির মূল বিষয়। এ ছবিতেও বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপুজোর উল্লেখ আছে।

১৮ ২০
দেবীপক্ষ: রাজা সেনের পরিচালনায় ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘দেবীপক্ষ’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শতাব্দী রায় এবং কোয়েল মল্লিককে। ছবিতে হৈমন্তী নামের এক ধর্মপ্রাণা মেয়ের শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় গুন্ডারা। এরপরে তার জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াই নিয়ে এই ছবি।

দেবীপক্ষ: রাজা সেনের পরিচালনায় ২০০৪ সালে মুক্তি পায় ‘দেবীপক্ষ’। ছবিতে মুখ্য ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, শতাব্দী রায় এবং কোয়েল মল্লিককে। ছবিতে হৈমন্তী নামের এক ধর্মপ্রাণা মেয়ের শ্লীলতাহানি করে স্থানীয় গুন্ডারা। এরপরে তার জীবন এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার লড়াই নিয়ে এই ছবি।

১৯ ২০
দশমী: সুমন মিত্রের পরিচালনায় ২০১২ সালে মুক্তি পায় এ ছবি। মুখ্য চরিত্রে আছেন কোয়েল মল্লিক (তুলি), ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (অভি), পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় এবং লকেট চট্টোপাধায়। ছবির মূল প্রেক্ষাপটই দুর্গাপুজো।

দশমী: সুমন মিত্রের পরিচালনায় ২০১২ সালে মুক্তি পায় এ ছবি। মুখ্য চরিত্রে আছেন কোয়েল মল্লিক (তুলি), ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত (অভি), পীযূষ গঙ্গোপাধ্যায় এবং লকেট চট্টোপাধায়। ছবির মূল প্রেক্ষাপটই দুর্গাপুজো।

২০ ২০
তুলি আর অভি ছোট বেলার বন্ধু।  একসঙ্গে বড় হয়েছে উত্তর কলকাতায়।  পড়াশোনার জন্য তুলি বিদেশে চলে গেলেও তাদের বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। হঠাৎই এক পুজোয় তুলি কলকাতায় ফিরে আসে। পুজোর পাঁচ দিনকে ঘিরে কীভাবে বদলে যায় এই দুই প্রাণবন্ত বন্ধুর জীবন, সেটাই এই ছবির গল্প। তথ্য সহায়তা: মৌমিতা ভট্টাচার্য।

তুলি আর অভি ছোট বেলার বন্ধু।  একসঙ্গে বড় হয়েছে উত্তর কলকাতায়।  পড়াশোনার জন্য তুলি বিদেশে চলে গেলেও তাদের বন্ধুত্বে ভাটা পড়েনি। হঠাৎই এক পুজোয় তুলি কলকাতায় ফিরে আসে। পুজোর পাঁচ দিনকে ঘিরে কীভাবে বদলে যায় এই দুই প্রাণবন্ত বন্ধুর জীবন, সেটাই এই ছবির গল্প। তথ্য সহায়তা: মৌমিতা ভট্টাচার্য।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE