দেবী অর্থাৎ দিব্য জননীর দশটি বিশেষ রূপের সমষ্টিগত নাম দশমহাবিদ্যা। এখানে এক দিকে যেমন রয়েছেন ভয়ঙ্কর দেবীমূর্তি, অন্য দিকে আছেন অপরূপা দেবীপ্রতিমাও। মুণ্ডমালা তন্ত্র অনুসারেদশমহাবিদ্যা হলেন কালী, তারা, ষোড়শী, ভৈরবী, ভুবনেশ্বরী, ছিন্নমস্তা, ধূমাবতী, বগলা, মাতঙ্গী ও কমলাত্মিকা। শাক্ত মতে, প্রত্যেক মহাবিদ্যা প্রকৃতিগত ভাবে তান্ত্রিক।
কুঞ্চিত ত্বক, সাদা চুল এবং রক্তচক্ষু-সহ দেবী ধূমাবতীর রূপ ভয়ঙ্কর। তিনি বিধবা। সাদা শাড়ি পরে তিনি আসীন বাহনবিহীন রথে। রথের মাথায় দেখা যায় একটি কাকের মূর্তি ও পতাকা। তাঁর ডান হাত থাকে বরাভয়ের মুদ্রায়। বাঁ হাতে তিনি একটি কুলো ধরে থাকেন। দশমহাবিদ্যার সপ্তম রূপ এই দেবী কখনও অলক্ষ্মী বা জ্যেষ্ঠাদেবী নামেও অভিহিতা হন।
দশ মহাবিদ্যার অষ্টম রূপ দেবী বগলামুখী সিংহাসন বা রাজহংসের পিঠে আসীন। ত্রিনয়না এই দেবী পীতাম্বরী। সালঙ্কারা দেবীর এক হাতে ধরা থাকে গদা। অন্য হাতে মন্দাসুর দৈত্যের কাটা মুণ্ড। শত্রুনিষ্ক্রিয়কারিণী এই দেবী ঈর্ষা, ঘৃণা ও নিষ্ঠুরতার মতো মানবচরিত্রের অন্ধকার দিক নিয়ন্ত্রণ করেন। তাঁকে সারস-মুণ্ড রূপেও কল্পনা করা হয়।
সবুজ পান্নার মতো গায়ের বর্ণ। পরনে রক্তবর্ণ বস্ত্র। সালঙ্কারা দেবী মাতঙ্গী দশ মহাবিদ্যার নবম রূপ। তিনি শান্তির প্রতিমূর্তি। সিংহাসনে আসীন এই দেবীর চার হাত। এক হাতে ধরে থাকেন তলোয়ার। দ্বিতীয় হাতে করোটি এবং তৃতীয় হাতে শোভা পায় বীণা। চতুর্থ হাত প্রশস্ত বরাভয়ে। কর্তৃত্ব শক্তির এই দেবী পরিচিত তান্ত্রিক সরস্বতী নামেও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy