কুমোরটুলির এক শিল্পী কার্তিক পালের কথায়, “এই উৎসবের মরসুমে ব্যবসা খুব ভাল হয়েছে। আমাদের অনুমান অন্তত ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৮ অক্টোবর ২০২২ ১৮:৩৭
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
বিসর্জন শেষ। পেরিয়ে গিয়েছে কালী পুজো, ভাইফোঁটাও। কিন্তু তাতে কী? তাই বলে তো আর উৎসব শেষ হয়ে যায় না। দোরগোড়ায় এসে গিয়েছে জগদ্ধাত্রী পুজো। আর তা ছাড়া কথাতেই তো আছে, বাঙালির ‘বারো মাসে তেরো পার্বণ’।
০২১০
আর যাঁরা প্রতিমা শিল্পী, এ সময়টা তাঁদের কাছে ঠিক কেমন? যাঁদের সুদক্ষ ও নিপুণ তুলির টানে মাটির মূর্তি হয়ে ওঠে মাতৃমূর্তি, তাঁদের কাছে এই পুজোর মরসুম আসলে লক্ষ্মীলাভের সময়।
০৩১০
কাজ আসে একের পর এক। সারা বছরের অন্ধকার পেরিয়ে মাটির সোঁদা গন্ধ আর ত্রিপল ছাওয়া ছাদের নীচে জ্বলা ৪০ ওয়াটের বাল্বের আলোর সঙ্গে যেন যুক্ত হয় আর একটু বেশি রোশনাই। করোনার জেরে তাতেও ভাটা পড়েছিল গত দু’বছর।
সেই দিনগুলো পিছনে ফেলে এ বছর ছিল খানিক স্বস্তি। দু’বছর পর আবার পুজোয় ফিরেছে আগের জাঁকজমক। স্বভাবতই তাঁর ফল পেয়েছেন শিল্পীরা।
০৬১০
রাজ্যের সবচেয়ে বড় প্রতিমা তৈরির কারখানা হল কুমোরটুলি। প্রত্যেক বছর এখান থেকে প্রতিমা রফতানি হয় গোটা দেশে, এমনকি বিদেশেও। গত দু’বছর ভাটা পড়েছিল তাতেও।
০৭১০
শুধু কুমোরটুলিতেই প্রায় ৬০০ জন শিল্পী প্রতিমা গড়ার কাজ করেন। এখানকার মৃৎশিল্পী কমিটির কথায়, এ বছর করোনার জেরে ব্যবসার খরা অনেকটাই কাটিয়ে ওঠা গিয়েছে। এ বছর রাজ্যে গণেশ পুজো থেকে জগদ্ধাত্রী পুজো অবধি প্রায় ১৫০ কোটি প্রতিমা বিক্রি হয়েছে।
০৮১০
যার হিসেব করলে অঙ্ক দাঁড়ায় প্রায় ৫০ হাজার কোটি টাকায়। ছোট থেকে বড় মূর্তি বিক্রি হয়েছে ২০ হাজার থেকে ৩ লক্ষ টাকা অবধি দামে।
০৯১০
মূর্তি প্রস্তুতকারীদের কথায়, এই বছর ভাল ব্যবসার নেপথ্যে করোনার প্রকোপ হ্রাসের সঙ্গেই ছিল ইউনেস্কো থেকে পাওয়া স্বীকৃতি। তাই আয়োজন ছিল বেশ আড়ম্বরের।
১০১০
কুমোরটুলির এক শিল্পী কার্তিক পালের কথায়, “এই উৎসবের মরসুমে ব্যবসা খুব ভাল হয়েছে। আমাদের অনুমান অন্তত ১৫০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছে। ২০১৯ সালে ১০০ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল।” ব্রিটিশ কাউন্সিল, আইআইটি-খড়গপুর, রাজ্যের পর্যটন বিভাগ এবং ব্রিটেনের কুইন্স মেরি বিশ্ববিদ্যালয়ের চালানো যৌথ সমীক্ষায় উঠে এসেছে এই তথ্য।