প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Krishnanagar Jagadhatri Puja 2025

ঐতিহ্য আর থিমের মেলবন্ধন! কৃষ্ণনগরের সেরা জগদ্ধাত্রী পুজো কোনগুলি? ঠাকুর দেখতে যাওয়ার আগেই জেনে নিন

কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর ইতিহাস শতাব্দী প্রাচীন এক ঐতিহ্য!

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০২৫ ২০:১৫
Share: Save:
০১ ১০
কৃষ্ণনগর - জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা: নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর হল জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন ক্ষেত্র। ১৭ শতকে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই পুজোর সূচনা করেন। বর্তমানে চন্দননগরের মতো এখানেও থিমের পাশাপাশি সাবেকি প্রতিমার জৌলুস মুগ্ধ করে।

কৃষ্ণনগর - জগদ্ধাত্রী পুজোর সূচনা: নদিয়া জেলার কৃষ্ণনগর হল জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন ক্ষেত্র। ১৭ শতকে মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায় এই পুজোর সূচনা করেন। বর্তমানে চন্দননগরের মতো এখানেও থিমের পাশাপাশি সাবেকি প্রতিমার জৌলুস মুগ্ধ করে।

০২ ১০
চাষাপাড়ার বুড়িমা - ঐতিহ্যের প্রতীক: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই - প্রথমেই যাঁর নাম সামনে আসে, তিনি হল চাষাপাড়া বারোয়ারির 'বুড়িমা'। ১৭৭২ সাল থেকে এই পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে প্রাচীন ও বিখ্যাত বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো। বিশাল আকার এবং সাবেকি প্রতিমার জন্য বুড়ি মায়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।

চাষাপাড়ার বুড়িমা - ঐতিহ্যের প্রতীক: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো মানেই - প্রথমেই যাঁর নাম সামনে আসে, তিনি হল চাষাপাড়া বারোয়ারির 'বুড়িমা'। ১৭৭২ সাল থেকে এই পুজো অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এটি কৃষ্ণনগরের সবচেয়ে প্রাচীন ও বিখ্যাত বারোয়ারি জগদ্ধাত্রী পুজো। বিশাল আকার এবং সাবেকি প্রতিমার জন্য বুড়ি মায়ের খ্যাতি বিশ্বজোড়া।

০৩ ১০
 কাঁঠালপোতার ছোট মা - বুড়িমায়ের বোন: চাষাপাড়ার 'বুড়িমা'-এর পরই জনপ্রিয়তার নিরিখে যাঁর স্থান, তিনি হলেন কাঁঠালপোতা বারোয়ারির 'ছোট মা'। লোকমুখে প্রচলিত যে ছোট মা হলেন বুড়িমায়ের বোন! এই প্রতিমাও আকারের দিক থেকে বেশ বড় এবং এর সাবেকি রূপে নজর কাড়ে।

কাঁঠালপোতার ছোট মা - বুড়িমায়ের বোন: চাষাপাড়ার 'বুড়িমা'-এর পরই জনপ্রিয়তার নিরিখে যাঁর স্থান, তিনি হলেন কাঁঠালপোতা বারোয়ারির 'ছোট মা'। লোকমুখে প্রচলিত যে ছোট মা হলেন বুড়িমায়ের বোন! এই প্রতিমাও আকারের দিক থেকে বেশ বড় এবং এর সাবেকি রূপে নজর কাড়ে।

০৪ ১০
রাজবাড়ির পুজো - ইতিহাসের সাক্ষী: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল এখানকার রাজবাড়িতেই। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরী মাতার পুজো আজও প্রাচীন রীতি মেনে হয়। এখানে দেবীর প্রতিমা সাবেক হলেও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।

রাজবাড়ির পুজো - ইতিহাসের সাক্ষী: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর মূল ঐতিহ্য শুরু হয়েছিল এখানকার রাজবাড়িতেই। মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের প্রতিষ্ঠিত রাজবাড়ির রাজরাজেশ্বরী মাতার পুজো আজও প্রাচীন রীতি মেনে হয়। এখানে দেবীর প্রতিমা সাবেক হলেও এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব অপরিসীম।

০৫ ১০
সৃজনশীলতায় সেরা - ঘূর্ণি বারোয়ারি (বকুলতলা): সাবেকি প্রতিমার পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের বহু পুজো এখন থিমের চমক দেখাচ্ছে। ঘূর্ণি এলাকায় একাধিক জনপ্রিয় পুজো হয়। যার মধ্যে ঘূর্ণি বকুলতলা বারোয়ারি অন্যতম। প্রতি বছর এরা নতুন নতুন সামাজিক বা সাহিত্য-ভিত্তিক থিম নিয়ে আসে, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

সৃজনশীলতায় সেরা - ঘূর্ণি বারোয়ারি (বকুলতলা): সাবেকি প্রতিমার পাশাপাশি কৃষ্ণনগরের বহু পুজো এখন থিমের চমক দেখাচ্ছে। ঘূর্ণি এলাকায় একাধিক জনপ্রিয় পুজো হয়। যার মধ্যে ঘূর্ণি বকুলতলা বারোয়ারি অন্যতম। প্রতি বছর এরা নতুন নতুন সামাজিক বা সাহিত্য-ভিত্তিক থিম নিয়ে আসে, যা দর্শকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

০৬ ১০
বিশাল প্রতিমায় চমক - ক্লাব প্রতিভা: কৃষ্ণনগরের একাধিক ক্লাব বিশাল উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছে। সন্ধ্যা মাঠ পাড়ার ক্লাব প্রতিভা বিগত বছরগুলিতে প্রায় ৮০-৮৫ ফুট উচ্চতার ফাইবারের প্রতিমা তৈরি করে জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। উচ্চতার বিচারে এদের প্রতিমা অন্যতম বৃহৎ।

বিশাল প্রতিমায় চমক - ক্লাব প্রতিভা: কৃষ্ণনগরের একাধিক ক্লাব বিশাল উচ্চতার প্রতিমা তৈরি করে খ্যাতি অর্জন করেছে। সন্ধ্যা মাঠ পাড়ার ক্লাব প্রতিভা বিগত বছরগুলিতে প্রায় ৮০-৮৫ ফুট উচ্চতার ফাইবারের প্রতিমা তৈরি করে জেলার সেরা পুজোগুলির মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে। উচ্চতার বিচারে এদের প্রতিমা অন্যতম বৃহৎ।

০৭ ১০
নজরকাড়া আলোকসজ্জা - রেনবো ক্লাব: কৃষ্ণনগরের থিমের পুজোগুলির মধ্যে রেনবো ক্লাব প্রতি বছরই মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জায় নতুনত্ব আনে।

নজরকাড়া আলোকসজ্জা - রেনবো ক্লাব: কৃষ্ণনগরের থিমের পুজোগুলির মধ্যে রেনবো ক্লাব প্রতি বছরই মণ্ডপসজ্জা ও আলোকসজ্জায় নতুনত্ব আনে।

০৮ ১০
রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি - থিমের বৈচিত্র্য: মূল শহরের একটু বাইরে হলেও রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি তাদের থিমের জন্য পরিচিত। এরা কাশী বিশ্বনাথ বা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটের মতো জনপ্রিয় বিষয়বস্তুকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলে। যা কৃষ্ণনগরের পুজো পরিক্রমায় অন্য মাত্রা যোগ করে।রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি - থিমের বৈচিত্র্য: মূল শহরের একটু বাইরে হলেও রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি তাদের থিমের জন্য পরিচিত। এরা কাশী বিশ্বনাথ বা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটের মতো জনপ্রিয় বিষয়বস্তুকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলে। যা কৃষ্ণনগরের পুজো পরিক্রমায় অন্য মাত্রা যোগ করে।

রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি - থিমের বৈচিত্র্য: মূল শহরের একটু বাইরে হলেও রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি তাদের থিমের জন্য পরিচিত। এরা কাশী বিশ্বনাথ বা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটের মতো জনপ্রিয় বিষয়বস্তুকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলে। যা কৃষ্ণনগরের পুজো পরিক্রমায় অন্য মাত্রা যোগ করে।রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি - থিমের বৈচিত্র্য: মূল শহরের একটু বাইরে হলেও রাধানগর অন্নপূর্ণা বারোয়ারি তাদের থিমের জন্য পরিচিত। এরা কাশী বিশ্বনাথ বা শান্তিনিকেতনের সোনাঝুরির হাটের মতো জনপ্রিয় বিষয়বস্তুকে মণ্ডপে ফুটিয়ে তোলে। যা কৃষ্ণনগরের পুজো পরিক্রমায় অন্য মাত্রা যোগ করে।

০৯ ১০
অন্যান্য আকর্ষণ: কৃষ্ণনগরে এই প্রধান পুজোগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু বারোয়ারি পুজো দেখার মতো! যাদের মধ্যে রয়েছে - গোবিন্দ সড়ক সম্মিলনী বারোয়ারি (আলোকেশ্বরী মাতা), মালোপাড়া বারোয়ারি (সুন্দর প্রতিমা ও ধুনো পোড়ানোর জন্য বিখ্যাত), চকের পাড়া বারোয়ারি (আদি মা) প্রভৃতি। এই পুজো মণ্ডপগুলি কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে এবং স্থানীয় ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

অন্যান্য আকর্ষণ: কৃষ্ণনগরে এই প্রধান পুজোগুলি ছাড়াও আরও বেশ কিছু বারোয়ারি পুজো দেখার মতো! যাদের মধ্যে রয়েছে - গোবিন্দ সড়ক সম্মিলনী বারোয়ারি (আলোকেশ্বরী মাতা), মালোপাড়া বারোয়ারি (সুন্দর প্রতিমা ও ধুনো পোড়ানোর জন্য বিখ্যাত), চকের পাড়া বারোয়ারি (আদি মা) প্রভৃতি। এই পুজো মণ্ডপগুলি কৃষ্ণনগর শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে রয়েছে এবং স্থানীয় ঐতিহ্যকে ধরে রেখেছে।

১০ ১০
২০২৫ সালের পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনা: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো সাধারণত দুর্গাপুজোর এক মাস পর - কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। মূল পুজো এক দিনেই হয় (অষ্টমী ও নবমী এক সঙ্গে)। তবে, প্যান্ডেলগুলি সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত খোলা থাকে। শহর ছোট হওয়ায় টোটো বা অটো ভাড়া করে এক দিনেই প্রধান পুজোগুলি ঘুরে দেখা সম্ভব। জনস্রোত সামলাতে নবমী ও দশমীর রাতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার থাকে।   (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)

২০২৫ সালের পুজো পরিক্রমার পরিকল্পনা: কৃষ্ণনগরের জগদ্ধাত্রী পুজো সাধারণত দুর্গাপুজোর এক মাস পর - কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে অনুষ্ঠিত হয়। মূল পুজো এক দিনেই হয় (অষ্টমী ও নবমী এক সঙ্গে)। তবে, প্যান্ডেলগুলি সপ্তমী থেকে দশমী পর্যন্ত খোলা থাকে। শহর ছোট হওয়ায় টোটো বা অটো ভাড়া করে এক দিনেই প্রধান পুজোগুলি ঘুরে দেখা সম্ভব। জনস্রোত সামলাতে নবমী ও দশমীর রাতে পুলিশি নিরাপত্তা জোরদার থাকে। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy