হারিয়ে যাওয়া ইতিহাস জীবন্ত হয়ে উঠবে পুজো মণ্ডপের অন্দরে!
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৩:০১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
আপনি কি জানেন প্রাচীনকালে এই বঙ্গভূমের দক্ষিণাংশে একটি সুবিশাল বৌদ্ধ বিহার ছিল? কিছু গবেষণায় অন্তত এমনই তথ্য বা দাবি উঠে এসেছে। যার হদিস পাওয়া যাবে দক্ষিণ কলকাতার ঠাকুরপুকুর স্টেট ব্যাংক (এসবি) পার্ক সর্বজনীনের এ বারের দুর্গাপুজোয়। থিমের নাম - ‘প্রত্ন কথা’!
০২১০
সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটির সম্পাদক অজয় মজুমদার জানিয়েছেন, তাঁদের এই পুজোর বয়স ৫৫ বছর।
০৩১০
বাংলার এক প্রায় বিস্মৃত ইতিহাস সম্পর্কে আমজনতাকে অবহিত করতেই দুর্গাপুজোর এ বারের থিম হিসেবে 'প্রত্ন কথা'-কে বেছে নেওয়া হয়েছে।
০৪১০
অজয় জানালেন, পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনের ১ নম্বর ব্লকের অন্তর্গত মঙ্গলওয়াড়ি এলাকায় বহু প্রাচীন কাল থেকেই একটি ঢিবি ছিল। যা একটি বিস্তৃত এলাকা জুড়ে অবস্থান করত।
০৫১০
পরবর্তীতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপকের সৌজন্যে সেখানে খনন কার্য শুরু করা হয়।
০৬১০
প্রায় ২০ শতাংশ খনন কাজ শেষ হওয়ার পর সামনে আসে কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য।
০৭১০
প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হয়, 'সখী সেনার ঢিবি' নামে পরিচিত ওই উঁচু অংশের নীচেই চাপা পড়ে রয়েছে আস্ত একটি বৌদ্ধ বিহার!
০৮১০
বিভিন্ন মহলের দাবি অনুসারে, এটি বাংলার প্রাচীনতম বৌদ্ধ বিহার হতে পারে। যা মৌর্য যুগ, গুপ্ত যুগ ও পাল বংশের আমলে সচল থেকে থাকতে পারে।
০৯১০
ইতিহাসের এই অধ্যায় সম্পর্কে বাংলার অধিকাংশ মানুষই অবহিত নয়। তাদের সেই সম্পর্কে জানাতেই এই বিষয়টিকে থিম হিসেবে বেছে নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
১০১০
পুজো মণ্ডপ নির্মাণ করতে ব্যবহার করা হচ্ছে - লোহা, প্লাইউড, কাঠ, প্লাস্টার অফ প্যারিস প্রভৃতি। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)