Tradition of 400 years old sabarna Roychowdhury family durga puja dgtl
Bonedi Barir Pujo
কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গাপুজো তাঁদেরই, কিন্তু জানেন কি সাবর্ণ রায়চৌধুরী কারও নাম নয়? জড়িয়ে আছে কোন ইতিহাস?
প্রায় ৪০০ বছরের বেশি সময়ের পুরনো এই পুজো দেখতে প্রতি বছরই দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান।
আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ১৮:২১
Share:Save:
এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১০
জনশ্রুতি অনুযায়ী কলকাতার প্রাচীনতম দুর্গাপুজো হল সাবর্ণ রায়চৌধুরীদেরই। তাঁদের এই পুজো ভারত বিখ্যাত। প্রায় ৪০০ বছরের বেশি সময়ের পুরনো এই পুজো দেখতে প্রতি বছরই দূরদূরান্ত থেকে বহু মানুষ ভিড় জমান।
০২১০
কিন্তু জানেন কি এই সাবর্ণ রায়চৌধুরী আদতে কারও নাম নয়। বরং এটি একটি পরিবারের নাম? হ্যাঁ, একদমই তাই।
০৩১০
অনেকেই ভুল করেন এই ভেবে যে সাবর্ণ রায়চৌধুরী বুঝি কোনও ব্যক্তির নাম। কিন্তু আদতে এটি একটি পরিবারের নাম।
০৪১০
১৬০৮ সালে লক্ষ্মীকান্ত গঙ্গোপাধ্যায় মুঘল সম্রাট জাহাঙ্গীরের কাছ থেকে বাংলার ২৪ পরগনার ৮টি পরগনা নিষ্কর জায়গির গুরুদক্ষিণা হিসেবে পান। এর বিস্তৃতি ছিল হালিশহর থেকে ডায়মন্ড হারবার পর্যন্ত।
০৫১০
এই একই সময়ই তাঁকে রায়চৌধুরী পদবী উপাধি দেওয়া হয়। আর তাঁর গোত্র ছিল সাবর্ণ। দুটো মিলিয়ে তাঁর পরিবারের নাম হয় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবার।
০৬১০
এই পরিবারের তরফে গোটা বাংলা জুড়ে মোট ৬৫টি মন্দির তৈরি করা হয়েছিল।
০৭১০
১৬১০ সাল থেকে এই বাড়ির পুজো শুরু হয়। কলকাতার অন্যতম প্রাচীন দুর্গাপুজো এটি। বিদ্যাপতির লেখা ‘দুর্গাভক্তি তরঙ্গিনী’ রীতির নিয়ম মেনে পুজো হয় সাবর্ণ রায়চৌধুরী পরিবারে।
০৮১০
এই পরিবারের মোট ৮টি বাড়িতে পুজো হয়, এগুলি হল আটচালা বাড়ি, বড় বাড়ি, মেজ বাড়ি, মাঝের বাড়ি , বেনাকি বাড়ি এবং কালীকিংকর ভবন, নিমতা বাড়ি ও বিরাটি বাড়ি।
০৯১০
সাবর্ণ রায়চৌধুরী বাড়ির সন্ধিপুজোয় ভিজে গায়ে পরিবারের সদস্যা ভিজে গায়ে দেবীর ভোগ রাঁধেন। এ দিন ভোগ হিসেবে দেওয়া হয় ল্যাটা বা শোল মাছ পোড়া, যা মাখনে মাখিয়ে নিবেদন করা হয় দেবীকে।
১০১০
দশমীর দিন বাড়িতে বানানো বোঁদে বিতরণ করা হয়। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।)