এই খবরটি সেভ করে রাখার জন্য পাশের আইকনটি ক্লিক করুন।
০১১৩
হাওড়ার শিবপুরের বহুল আলোচিত হাজার-হাত কালীর মন্দির। প্রতি বছরই সাড়ম্বরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী। চণ্ডীপুরাণ বলে, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা যে রূপগুলি ধারণ করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি হল এই হাজার-হাত বিশিষ্ট রূপ।
০২১৩
কতই না কথা প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে। এমনও শোনা যায়, এই মন্দিরেই নাকি প্রার্থনা করে নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় এক ব্যক্তি।
০৩১৩
বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক। কথিত আছে যে বহু বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের এক শুক্রবার কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম নামে দৃষ্টিহীন সেই ব্যক্তি এই মন্দিরে এসেছিলেন।
০৪১৩
হাজার হাত দেবীর কাছে প্রার্থনা করলেন যেন দৃষ্টি ফিরে পান তিনি।
০৫১৩
দেবীও বড় দয়াময়ী। এক বছরের মধ্যে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন তিনি। এর পর থেকেই দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার শুরু হয় গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে।
০৬১৩
কলকাতার চোরবাগানের তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। তিনি ঘুরে বেড়াতেন দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থানে। পুজোপাঠ, ধ্যান, সাধনাই ছিল মূল কাজ।
০৭১৩
এক বার স্বপ্নে এই হাজার-হাত কালী দেখা দেন। শুধু তাই নয়, ওলাবিবিতলায় যেখানে এই মন্দির অবস্থিত, সেই জায়গাও ফুটে ওঠে স্বপ্নাদেশে।
০৮১৩
এর পর প্রায় ১২৫ টাকার বিনিময়ে তিন কাঠা জমির মধ্যে গড়ে ওঠে সেই মন্দির। ১৮৭০ সাল তখন। কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহ বানান।
০৯১৩
মন্দির তৈরির নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস। প্রথমে মাটির ঠিক হয়, মাটির মন্দির তৈরি করা হবে। কিন্তু সেই সামর্থ ছিল না আশুতোষের। তখন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় হালদার পরিবার, যাঁদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন আশুতোষ।
১০১৩
এর পর মাটির প্রতিমা তৈরি করে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় দেবীর।
১১১৩
এই মন্দির নাকি এক বার ভেঙেও দেওয়া হয়েছিল। ফের গড়ে তোলেন আশুতোষ। পরে পাকা মন্দির ও সিমেন্টের প্রতিমা তৈরি হয়।