প্রেজেন্টস্
Knowledge Partner
Fashion Partner
Wedding Partner
Banking Partner
Comfort Partner
Hajar hath kali

দেবীর কৃপাতেই ফিরেছিল দৃষ্টি! হাওড়ার শিবপুরের হাজার-হাত কালীর ইতিহাস জানেন?

হাওড়ার শিবপুরের বহুল আলোচিত হাজার-হাত কালীর মন্দির। প্রতি বছরই সাড়ম্বরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী।

আনন্দ উৎসব ডেস্ক
শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৩১
Share: Save:
০১ ১৩
হাওড়ার শিবপুরের বহুল আলোচিত হাজার-হাত কালীর মন্দির। প্রতি বছরই সাড়ম্বরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী। চণ্ডীপুরাণ বলে, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা যে রূপগুলি ধারণ করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি হল এই হাজার-হাত বিশিষ্ট রূপ।

হাওড়ার শিবপুরের বহুল আলোচিত হাজার-হাত কালীর মন্দির। প্রতি বছরই সাড়ম্বরে পূজিত হয়ে আসছেন দেবী। চণ্ডীপুরাণ বলে, অসুর বধের সময়ে দেবী দুর্গা যে রূপগুলি ধারণ করেছিলেন, তার মধ্যেই একটি হল এই হাজার-হাত বিশিষ্ট রূপ।

০২ ১৩
কতই না কথা প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে। এমনও শোনা যায়, এই মন্দিরেই নাকি প্রার্থনা করে নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় এক ব্যক্তি।

কতই না কথা প্রচলিত আছে এই মন্দিরকে ঘিরে। এমনও শোনা যায়, এই মন্দিরেই নাকি প্রার্থনা করে নিজের দৃষ্টিশক্তি ফিরে পেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় এক ব্যক্তি।

০৩ ১৩
বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক। কথিত আছে যে বহু বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের এক শুক্রবার কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম নামে দৃষ্টিহীন সেই ব্যক্তি এই মন্দিরে এসেছিলেন।

বিষয়টা খোলসা করেই বলা যাক। কথিত আছে যে বহু বছর আগে শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের এক শুক্রবার কৃষ্ণা সুব্রহ্মণ্যম নামে দৃষ্টিহীন সেই ব্যক্তি এই মন্দিরে এসেছিলেন।

০৪ ১৩
হাজার হাত দেবীর কাছে প্রার্থনা করলেন যেন দৃষ্টি ফিরে পান তিনি।

হাজার হাত দেবীর কাছে প্রার্থনা করলেন যেন দৃষ্টি ফিরে পান তিনি।

০৫ ১৩
দেবীও বড় দয়াময়ী। এক বছরের মধ্যে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন তিনি। এর পর থেকেই দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার শুরু হয় গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে।

দেবীও বড় দয়াময়ী। এক বছরের মধ্যে দৃষ্টি ফিরিয়ে দিলেন তিনি। এর পর থেকেই দেবীর মাহাত্ম্য প্রচার শুরু হয় গোটা দক্ষিণ ভারত জুড়ে।

০৬ ১৩
 কলকাতার চোরবাগানের তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। তিনি ঘুরে বেড়াতেন দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থানে। পুজোপাঠ, ধ্যান, সাধনাই ছিল মূল কাজ।

কলকাতার চোরবাগানের তান্ত্রিক আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের উদ্যোগে এই মন্দির গড়ে ওঠে। তিনি ঘুরে বেড়াতেন দেশের বিভিন্ন তীর্থস্থানে। পুজোপাঠ, ধ্যান, সাধনাই ছিল মূল কাজ।

০৭ ১৩
এক বার স্বপ্নে এই হাজার-হাত কালী দেখা দেন। শুধু তাই নয়, ওলাবিবিতলায় যেখানে এই মন্দির অবস্থিত, সেই জায়গাও ফুটে ওঠে স্বপ্নাদেশে।

এক বার স্বপ্নে এই হাজার-হাত কালী দেখা দেন। শুধু তাই নয়, ওলাবিবিতলায় যেখানে এই মন্দির অবস্থিত, সেই জায়গাও ফুটে ওঠে স্বপ্নাদেশে।

০৮ ১৩
এর পর প্রায় ১২৫ টাকার বিনিময়ে তিন কাঠা জমির মধ্যে গড়ে ওঠে সেই মন্দির। ১৮৭০ সাল তখন। কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহ বানান।

এর পর প্রায় ১২৫ টাকার বিনিময়ে তিন কাঠা জমির মধ্যে গড়ে ওঠে সেই মন্দির। ১৮৭০ সাল তখন। কুমোরটুলির প্রিয়নাথ পাল বিগ্রহ বানান।

০৯ ১৩
মন্দির তৈরির নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস। প্রথমে মাটির ঠিক হয়, মাটির মন্দির তৈরি করা হবে। কিন্তু সেই সামর্থ ছিল না আশুতোষের। তখন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় হালদার পরিবার, যাঁদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন আশুতোষ।

মন্দির তৈরির নেপথ্যেও রয়েছে ইতিহাস। প্রথমে মাটির ঠিক হয়, মাটির মন্দির তৈরি করা হবে। কিন্তু সেই সামর্থ ছিল না আশুতোষের। তখন সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেন স্থানীয় হালদার পরিবার, যাঁদের কাছ থেকে জমি কিনেছিলেন আশুতোষ।

১০ ১৩
এর পর মাটির প্রতিমা তৈরি করে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় দেবীর।

এর পর মাটির প্রতিমা তৈরি করে বুদ্ধ পূর্ণিমার দিন প্রতিষ্ঠা হয় দেবীর।

১১ ১৩
 এই মন্দির নাকি এক বার ভেঙেও দেওয়া হয়েছিল। ফের গড়ে তোলেন আশুতোষ। পরে পাকা মন্দির ও সিমেন্টের প্রতিমা তৈরি হয়।

এই মন্দির নাকি এক বার ভেঙেও দেওয়া হয়েছিল। ফের গড়ে তোলেন আশুতোষ। পরে পাকা মন্দির ও সিমেন্টের প্রতিমা তৈরি হয়।

১২ ১৩
বিশালাকার নীলবর্ণা প্রতিমা। সিংহের পিঠে ডান পা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি।

বিশালাকার নীলবর্ণা প্রতিমা। সিংহের পিঠে ডান পা তুলে দাঁড়িয়ে রয়েছেন তিনি।

১৩ ১৩
 বংশানুক্রমে দেবীর সেবা করে আসছেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরাই।   (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

বংশানুক্রমে দেবীর সেবা করে আসছেন মুখোপাধ্যায় পরিবারের সদস্যরাই। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on: Save:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy