ভোরে ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে দিল্লি। ছবি: পিটিআই।
ঘন কুয়াশায় ঢেকেছে দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা। দৃশ্যমানতা বিপজ্জনক ভাবে কমে গিয়েছে। সোমবার ভোরে ধোঁয়াশায় কার্যত অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে তাজমহল। যার জেরে বাতিল হয়ে গিয়েছে একাধিক উড়ান। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে বদলানো হয়েছে অন্তত ২০০টি উড়ানের সময়সূচি। ব্যাহত হয়েছে রেল পরিষেবাও।
সোমবার সকাল ৭টায় দিল্লিতে বাতাসের গড় গুণমান (এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই) রেকর্ড হয়েছে ৪০২, যা ‘ভয়ানক খারাপ’ পর্যায়ে পড়ে। ধোঁয়াশার কারণে শহরে দৃশ্যমানতা বিপজ্জনক ভাবে কমে গিয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দরের আশপাশে দৃশ্যমানতা নেমে গিয়েছে ১২৫ মিটারে। ফ্লাইটরেডারের তথ্য অনুযায়ী, ঘন কুয়াশার জেরে সোমবার ভোর থেকে দিল্লি বিমানবন্দরে ওঠানামার অন্তত ছ’টি উড়ান বাতিল করা হয়েছে। সময় বদলেছে ২০০টিরও বেশি উড়ানের। যাত্রীদের জন্য আগেভাগেই সতর্কবার্তা জারি করেছে বিভিন্ন উড়ান সংস্থা। যাত্রীদের আগে থেকে পরিকল্পনা করা এবং বিমানবন্দরে পৌঁছোনোর জন্য অতিরিক্ত সময় হাতে রাখতে বলা হয়েছে। দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের তরফেও জারি করা হয়েছে সতর্কবার্তা।
কুয়াশার প্রভাব পড়েছে রেল পরিষেবাতেও। সকাল থেকে বহু দূরপাল্লার ট্রেন দেরিতে চলছে। ঘন কুয়াশার জেরে কিছু কিছু এলাকায় রাস্তায় দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছে। রবিবারই দিল্লি-সহ উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে আগামী কয়েক দিন অত্যন্ত ঘন কুয়াশার পূর্বাভাস দিয়েছে মৌসম ভবন। হিমাচল প্রদেশ, পঞ্জাব, হরিয়ানা, চণ্ডীগড় এবং উত্তরপ্রদেশে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কুয়াশার দাপট চলবে। ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল সাড়ে ৮টা পর্যন্ত ঘন কুয়াশার লাল সতর্কতা জারি হয়েছে দিল্লির বেশির ভাগ এলাকায়। আবহাওয়া দফতরের তরফে গাড়ি চালানোর সময় সাবধানতা অবলম্বন, ফগ লাইট ব্যবহার করা এবং সকালের দিকে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোনোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই পরিস্থিতি জম্মুতেও। সেখানেও ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে উড়ানসংস্থা ইন্ডিগো।