viral video

কামরা যেন বাড়ির বারান্দা, ট্রেনে উঠে ভিজে রাতপোশাক মেলে দিলেন তরুণী! ভাইরাল ভিডিয়োয় হাসির রোল

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে শাড়ি পরা এক মহিলা ট্রেনের দরজার কাছে ধাতব হাতলে ভিজে রাতপোশাকটি টান টান করে মেলে দিচ্ছেন। মহিলার অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছে কাজটি যেন খুবই স্বাভাবিক।

Advertisement
আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২১ অগস্ট ২০২৫ ১৪:৫৫
woman drying her clothes inside a Mumbai local train

ছবি: সংগৃহীত।

রেলের কামরাকেই বাড়ির উঠোন বানিয়ে ফেললেন এক তরুণী। যাতায়াতের পথে ভিজে জামাকাপড় শুকিয়ে নেওয়ার জন্য রেলের কামরাকেই বেছে নিলেন তিনি। যাত্রীভর্তি কামরায় ভিজে পোশাক মেলে দিলেন। কাজটি করার সময় কোনও রকম অস্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেননি ওই যাত্রী। বাড়িতে যেমন ভাবে জামাকাপড় শুকোতে দেওয়া হয়, তেমন ভাবেই সকলের সামনে তিনি পোশাকটি কামরার একটি রডে মেলে দিলেন। সেই ঘটনারই একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। মুম্বইয়ের লোকাল ট্রেনের কামরার ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই তা ভাইরাল হয়েছে। যদিও এই ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।

Advertisement

ভাইরাল সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে শাড়ি পরা তরুণী ট্রেনের দরজার কাছে ধাতব হাতলে ভিজে রাতপোশাকটি টান টান করে মেলে দিচ্ছেন। মহিলার অভিব্যক্তি দেখে মনে হচ্ছে, এই কাজটি খুবই স্বাভাবিক। অদ্ভুত বিষয় হল, এই দৃশ্য দেখে তাঁর সহযাত্রীরাও বিচলিত হননি। দৃশ্যটি দেখেও তাঁদের মধ্যে কোনও প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি। যেন এটি তাঁদের দৈনন্দিন যাতায়াতের পথে দেখা স্বাভাবিক ব্যাপার। যাত্রীদের মধ্যেই কেউ সেই ঘটনাটি ক্যামেরাবন্দি করেছেন। সেই ভিডিয়োটি ইনস্টাগ্রামে প্রকাশ্যে এসেছে।

কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত বাণিজ্যনগরী মুম্বই। চতুর্দিকে জমে জল। ছোট ছোট বাড়িতে যাঁরা বাস করেন তাঁদের জামাকাপড় শুকোতে সমস্যা হচ্ছে। অতএব ভরসা রেলের কামরা। এর আগেও রেলের কামরায় ভেজা তোয়ালে, চাদর শুকোনোর ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছিল। ভিডিয়োটি ‘মুম্বইগাইড’ নামের একটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করার পর তাতে প্রচুর মানুষ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘মুম্বইবাসীরা কখনও হাল ছাড়েন না। দৈনন্দিন চ্যালেঞ্জগুলির বাস্তব সমাধান খুঁজে বার করে দেখান।’’ অন্য এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, ‘‘আমাদের কাছে রেলের কামরা যেন দ্বিতীয় বাড়ি। এখানে আমরা উৎসব উদ্‌যাপন করি, খাবার ভাগাভাগি করি। এখন এখানে কাপড়ও শুকোই।’’

Advertisement
আরও পড়ুন