—প্রতীকী ছবি।
অফিসের কাজ সেরে স্বামীর সঙ্গে একান্তে সময় কাটাচ্ছিলেন তরুণী। হঠাৎ তাঁর ইনবক্সে একটি মেল আসে। তা দেখেই আঁতকে ওঠেন তিনি। চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তরুণীকে। কেন তাঁকে ছাঁটাই করা হল, তা নিয়ে দুশ্চিন্তা করে শরীর খারাপ হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু মেলটি ভাল ভাবে লক্ষ করতেই সংস্থার ঊর্ধ্বতনের অপেশাদারিত্ব ধরা পড়ল। হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন তরুণীও। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনাটি উল্লেখ করে একটি পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘সাইমনস’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে লেখা রয়েছে, ‘‘এই মাসে আমার স্ত্রীর কাছে একটি মেল আসে। তাতে জানানো হয় যে, আমার স্ত্রীকে তাঁর চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। ইমেল দেখে ও এক মুহূর্তের জন্য স্থির হয়ে গিয়েছিল। অফিসে কোনও গোলমাল হয়েছে কি না, কাজে কোনও ভুল হয়েছে কি না— এ সব নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু করে দিয়েছিল। শরীরও খারাপ করছিল ওর।’’ পরে সত্য জানতে পারেন তরুণী এবং তাঁর স্বামী।
তরুণী যে সংস্থায় চাকরি করেন না, সেই সংস্থার তরফে ইমেলটি পাঠানো হয়েছে। সম্ভবত মেল পাঠানোর সময় ভুল আইডিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন সংস্থার কর্তৃপক্ষ। সেই সংস্থার ঊর্ধতনের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে তরুণীর স্বামী লিখেছেন, ‘‘সংস্থার মানবসম্পদ বিভাগের ঊর্ধ্বতনের কাছে অনুরোধ করছি, তাঁরা যেন একটু দেখেশুনে এই ধরনের ইমেল পাঠান। আপনাদের অপেশাদারিত্বের কারণে কারও হয়তো সত্যি সত্যিই কোনও ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।’’