বিক্ষোভরত ছাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।
রাজ্যের একমাত্র কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে নিম্নমানের খাবার দেওয়া হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে খাবার দেওয়া বন্ধ করে দেওয়া হয়। এমনই অভিযোগে মঙ্গলবার রাতে উত্তাল হল বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর। মধ্যরাত পর্যন্ত আবাসিক ছাত্রীদের বিক্ষোভে উত্তেজনা শান্তিনিকেতনে।
মঙ্গলবার রাতে বিশ্বভারতীর ক্যান্টিনের সামনে জড়ো হন ছাত্রীরা। থালা বাজিয়ে স্লোগান দিতে থাকেন তাঁরা। অভিযোগ একাধিক। তবে মূল অভিযোগ, ক্যান্টিনের খাবারের মান নিয়ে। দু’বেলা খাবারের জন্য ৯০ টাকা খরচ করতে হয় ছাত্রীদের। কিন্তু তার পরেও বাজে খাবার পরিবেশন করা হয় বলে অভিযোগ। তার পর রয়েছে কুপন নিয়ে বিতর্ক।
ছাত্রীরা জানাচ্ছেন, সারা মাস খাওয়ার জন্য আগে থেকে কুপন সংগ্রহ করতে হয় তাঁদের। কিন্তু এক মাসের টাকা দিয়েও তাঁরা ডিসেম্বরে ২২ তারিখ পর্যন্ত খাবার পাবেন বলে জানিয়ে দেন ক্যান্টিন কর্তৃপক্ষ। কারণ জানতে চাইলে ব্যাখ্যা দেওয়ার প্রয়োজন মনে করেননি তাঁরা। এর পরেই বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্রীরা। তাঁদের এ-ও অভিযোগ, বিষয়টি নিয়ে হস্টেলের ওয়ার্ডেন থেকে বিশ্ববিদ্যাল কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন জনকে বলেও কোনও সুরাহা হয়নি। বরং বিক্ষোভ-প্রতিবাদ করলে তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। মঙ্গলবার রাতে প্রায় তিন ঘণ্টা থালা বাজিয়ে গান গেয়ে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন ছাত্রীরা। শেষমেশ কর্তৃপক্ষের তরফে একজন কথা বলেছেন। কিন্তু তাতে সুরাহা হয়নি বলে জানিয়েছেন ছাত্রীরা।
আন্দোলনরত এক পড়ুয়ার কথায়, ‘‘ক্যান্টিরে খাবারের মান অত্যন্ত খারাপ। তার উপরে মাসের ১ তারিখ বলা হয়েছিল পৌষ মেলার জন্য আগেভাগে কুপন সংগ্রহ করে নিতে। এখন বলছে, পুরো মাস খাবার পাব না! অন্য দিকে, কর্তৃপক্ষ নাকি ক্যান্টিনকে বলছেন, ‘ওরা আধ ঘণ্টা বিক্ষোভ করবে, তার পর চলে যাবে।’’ আর এক ছাত্রীর কথায়, ‘‘এত বাজে খাবার, তার দাম আবার ৯০ টাকা। যেখানে রান্না হয়, সেই জায়গা দেখলে কারও খেতে রুচি হবে না। এত অভিযোগ করেও কর্তৃপক্ষের তরফে সমাধানের আশ্বাস আসেনি। বরং প্রতিবাদ করলে আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি আসে।’’
এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কারও কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।